পিএসজির হয়ে মাঠে নেমে গোল করাটাকে যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন এমবাপে, আর সেই গোলের সুবাদে করে যাচ্ছেন একের পর এক রেকর্ডও। মেসি পিএসজির জার্সিতে এমবাপের মতো গোল না করলেও একের পর এক রেকর্ডের জন্ম দিয়েই যাচ্ছেন। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সের বিপক্ষে মাঠে নেমে মেসি এবং এমবাপে দু’জনই গোল করলেন। সে সঙ্গে রেকর্ড গড়লেন কিলিয়ান এমবাপে। আর এই গোলের সাথে বেশ বড়সড় একটি রেকর্ডও করে ফেললেন এই তিনি। লিগ ওয়ানে পিএসজির হয়ে র্সবকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব জয় করে নিয়েছেন এই ফরাসি মহাতারকা।
এমবাপে এমনিতেই পিএসজির হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব নিজের করে নিয়েছেন। এবার লেন্সের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে করলেন নিজের ১৩৯তম গোলটি। সে সঙ্গে পেছনে ফেললেন এডিনসন কাভানিকে।
এর আগে মার্চে নতেঁর বিপক্ষে গোল করে এমবাপ্পে কাভানিকে অন্য একটি রেকর্ডে পেছনে ফেলেছিলেন। সেদিন এমবাপে করেছিলেন সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পিএসজির ২০১তম গোলটি। এর আগে ২০০ গোল করে এই তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন কাভানিই।
ফ্রেঞ্চ লিগে পিএসজি এবং লেন্সের এই ম্যাচটিকে ধরা হচ্ছিলো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হিসেবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল দুটির লড়াই। তবে এমবাপে, ভিতিনহা এবং লিওনেল মেসির গোলে একপ্রকার হেসেখেলেই ৩-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে পিএসজি।
পিএসজির মাঠে ম্যাচের ১৯তম মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় লেন্স। অর্থ্যাৎ, ৭০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে ১০ জন নিয়েই তাদের সামলাতে হয়েছে মেসি- এমবাপেদের মতো খেলোয়ারদের।
পার্ক ডি প্রিন্সেসের ম্যাচটিতে লেন্সের সাথে পিএসজির প্রতিপক্ষ ছিল নিজেদের সাম্প্রতিক ইতিহাসও। লেন্সের বিপক্ষে গত মৌসুমের শুরু থেকে গতকালের ম্যাচ পর্যন্ত মোট ৩ বার খেলেছে পিএসজি, এবং জয়হীন থেকেছে প্রতিটি ম্যাচেই।
সেই ভোগান্তির সম্ভাবনা জাগিয়ে প্রথম ১৫ মিনিট তাল মিলিয়েই খেলে গেছে লেন্স। তবে ১৯ মিনিটে আবদুল সামেদের ভুলে পিছিয়ে পড়ে তারা। এ সময় আশরাফ হাকিমিকে অযথা ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ঘানাইয়ান এই ফুটবলার।
১০ জনের লেন্সের বিপক্ষে ৩১ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা যায় পিএসজি। এ সময় আক্রমণে উঠে এসে লেন্স ডি-বক্সের সামনে এমবাপেকে বল বাড়ান মেসি। প্রথম স্পর্শে ভিতিনহার কাছে বল পাঠান এমবাপে। ফিরতি বলে নেওয়া এমবাপের শট পোস্টের ভেতরের অংশ লেগে জালে জড়ায়।
৩৭ মিনিটে গোল পেয়ে যান ভিতিনহাও। কর্নার সামলাতে দুই দলের খেলোয়াড়রা ছিলেন গোলমুখে। কর্নারে লম্বা করে বল না বাড়িয়ে আস্তে করে মাঝমাঠের দিকে বল বাড়ান মেসি। অরক্ষিত থাকা ভিতিনহা ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন।
মেসি গোল পান এর দুই মিনিট পর। বাঁ দিক থেকে ডি-বক্সে ঢুকে এমবাপেকে বল বাড়ান তিনি। দারুণ ব্যাকহিল ফ্লিকে বল মেসিকে ফেরত দেন এমবাপে। কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এই গোলের সুবাদে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে স্পর্শ করেছেন মেসি। দুজনের গোল এখন ৪৯৫টি করে।
প্রথমার্ধে ৩ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল করতে পারেনি পিএসজি। মেসি-এমবাপে দুজনই পুরো ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন। ম্যাচের ৬০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে লেন্সের পক্ষে ব্যবধান ৩-১ এ নামিয়ে আনেন প্রেজেমিস্ল ফ্রাঙ্কোভস্কি।
এই জয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে পিএসজির সঙ্গে লেন্সের দূরত্ব তৈরি হলো ৯ পয়েন্টের। ৩১ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট ৭২। সমান সংখ্যক ম্যাচে লেন্সের পয়েন্ট ৬৩। ৩০ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অলিম্পিক মার্শেই।
বিবার্তা/নিলয়
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]