জাতীয় নারী ফুটবল মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই খেলতে প্রায় কোটি টাকার মতো প্রয়োজন ছিল। বাফুফের কাছে সেই অর্থ ছিল না এবং এই অর্থ জোগাড়েও ব্যর্থ হয়েছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। দলকে অলিম্পিক বাছাই খেলতে মিয়ানমারে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত কয়েকদিন ধরে দেশের ফুটবলের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এই সিদ্ধান্ত হইচই ফেলে দিয়েছে চারদিকে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, এক কোটি টাকা জোগাড়ের ক্ষমতা নেই, কেন নেই! ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা তো জোগাড় করি। কুয়া থেকে পানি তুলতে গিয়ে তো একসময় তা শেষ হয়ে যায়। আমাকে তো কেউ দিতেও চায় না।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে ফোন করা হয়েছিল। আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন দল পাঠানো হলো না। দল মিয়ানমার পাঠাতে কত টাকা লাগবে। প্রধানমন্ত্রী নাকি তাদের বলেছেন, আমি কেন তাঁকে আগে বিষয়টি জানাইনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে বলেছি, এখন টাকা দিলেও আর দল পাঠানো সম্ভব না। কারণ, নাম প্রত্যাহার হয়ে গেছে। আসলে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি না জানানো আমার ভুলই ছিল।
সাবিনাদের মিয়ানমার পাঠানোর জন্য প্রয়োজন ছিল প্রায় এক কোটি টাকা। বাফুফে টাকা চেয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছিল। মন্ত্রণালয় থেকে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর বাফুফে দ্বারস্থ হয়েছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের। সেখান থেকে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় বাফুফে দল না পাঠানোরই সিদ্ধান্ত নেয়।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]