ফরচুন বরিশালের বিপক্ষেও দলীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রংপুর রাইডার্সের শোয়েব মালিক। সেদিন জয় না পেলেও শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন মালিক। খুলনার দেয়া ১৩১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স।
খুলনার দেয়া রান তাড়া করতে নেমে রংপুরের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ১ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ছন্দে থাকা ওপেনার রনি তালুকদার। অপর ওপেনার সাঈম আয়ুবের সংগ্রহ ১০ রান। তিনে নামা মেহেদীও ব্যাট হাতে বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ২৭ রানের জুটি গড়েন নাঈম শেখ ও শোয়েব মালিক। দলীয় ৫৮ রানে বিদায় নেন নাঈম শেখও। পঞ্চম উইকেটে ৩২ রান এনে দেয় নুরুল হাসান সোহান-শোয়েব মালিক জুটি। ব্যাট হাতে এদিন ১৮ বলে ১০ রান করেন সোহান।
সোহানের বিদায়ের পরও একপ্রান্ত আগলে রাখেন শোয়েব। শামিম হোসেনকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়ে আউট হন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।। ৩৬ বলে ২টি ছক্কা ও ৩টি চারের সাহায্যে ৪৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। শোয়েবের বিদায়ের পর বাকি কাজটা সারেন শামিম ও ওমরজাই।
এর আগে, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে খুলনা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তামিম ইকবাল ব্যক্তিগত মাত্র ১ রানে আউট হন। এরপর দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরেন শারজিল খান আর হাবিবুর রহমান সোহান। পঞ্চম ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা।
সেখান থেকে ৪২ বলে ৫৮ রানের একটি জুটি গড়েন ইয়াসির আলি রাব্বি ও আজম খান। অধিনায়ক ইয়াসির ২২ বলে ২৫ করে আউট হলে ফের চাপে পড়ে দলটি। দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান সাব্বির রহমানও। এরপর ঝোড়ো ব্যাটিং চালানো আজম খানও প্যাভিলিয়নে ফিরলে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় খুলনার।
রংপুরের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রবিউল হক। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে একাই নেন ৪টি উইকেট।
বিবার্তা/বিএম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]