স্ন্যাপচ্যাট মডেল টেইলর রায়ান, তার বান্ধবী এলিসে মেলভিন ও ব্রুক মর্গান। এরা তিনজনই ২১ বছরের যুবতী। এদেরকে নিয়ে ম্যানচেস্টারের একটি হোটেল রুমে ঘুমিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ফুটবলার ওয়েন রুনি। এছাড়া তিনি এসব যুবতীর সঙ্গে ওই হোটেলের ভিতর নৈকবারই হাঁটাহাঁটি করছেন।

এসব ছবি, ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সয়লাব। তবে ওয়েন রুনি দাবি করেছেন, তাকে ব্লাকমেইল করা হয়েছে। তার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তিনি মডেল ও তার বান্ধবীদের সঙ্গে পার্টি করছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, রুনি হোটেলের ভিতর হাঁটাহাঁটি করছেন দু’জন যুবতীর সঙ্গে।

গত শনিবার দিবাগত রাতে তিনি টেইলর, তার বান্ধবী এলিসে মেলভিন এবং ব্রুক মর্গানকে নিয়ে পার্টি করেন চায়নাহোয়াইট নাইটক্লাবে। রবিবার খুব ভোরে দেখা যায় দু’জন যুবতীর সঙ্গে ৩৫ বছর বয়সী সাবেক এই ইংলিশ তারকা হাঁটাহাঁটি করছেন। এর মধ্যে একজন স্ন্যাপচ্যাটের মডেল টেইলর রায়ান।

প্রসঙ্গত, ওয়েন রুনি ৪ সন্তানের জনক। তিনি ২০০৮ সালে বিয়ে করেছেন শৈশবের বান্ধবী কোলিন রুনিকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়েন রুনির রাতের ওই ছবি প্রকাশ হওয়ার ২৪ ঘন্টা পরে কোলিন রুনিকে দেখা গেছে নর্থ ওয়েলসের এক সমুদ্র সৈকতে।

রবিবার রাতের ওইসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সয়লাব হয়ে যাওয়ার পর রুনির প্রতিনিধি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশে ব্লাকমেইলের অভিযোগ করেছেন। এরপর রুনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

রুনির মুখপাত্র বলেছেন, এ নিয়ে তদন্ত বিলম্বিত হচ্ছে। কারণ, হোটেলটি যেখানে অবস্থিত তা গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ নাকি ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশের বিচারিক আওতায় তা নিয়ে দ্বিধা দেখা দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব ছবি ফাঁস হয়েছে তার একটিতে দেখা যায় একজন স্বর্ণকেশী ম্যানচেস্টারের এক নাইটক্লাবে বসে আছেন। তার দিকে ঝুঁকে আছেন রুনি। সেখানে অন্য কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তা পরিষ্কার নয়।

এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে- তা দেখে ওইসব যুবতী হতাশ হয়েছেন। ওই যুবতীদের একজনের মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, কেন ১৪ বছরের বয়সের ফারাক থাকা সত্ত্বেও রুনির সঙ্গে তার মেয়ে মদ পান করেছেন- এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল। টেইলর রায়ানের ৪৩ বছর বয়সী মা অ্যাঙ্গি সাউন্দারসন।

তিনি ফার্নেসে বারো’র বাড়ি থেকে ফোনে ওই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, পুলিশি অভিযোগের বিষয়ে আমি তোয়াক্কা করি না। মেয়েরা বাইরে গিয়েছিল ২১তম জন্মদিন পালন করতে। তাদের বয়স ২১ বছর। রুনির বয়স প্রায় ৪০। তিনিই তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনিই তার ভিআইপি বুথে তাদেরকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে দিয়ে। যা ঘটে গেছে তাতে মেয়েরা হতাশ। তারা কান্না করছে। আমার মেয়ে খুব ভাল। সে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের। তারা ভেবেছিল, মজার হবে এই জন্মদিন পালন। কিন্তু আমি তাদেরকে বলেছি, এটা ছিল একেবারেই বোকার কাজ। তাদের জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে।

বিবার্তা/বিআর