তিন কর্মদিবস সূচকের পতন আর দুই কর্মদিবস সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে আরও একটি সপ্তাহ পার করল দেশের শেয়ারবাজার। গেল সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। একই সাথে লেনদেন হওয়া কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দরও বেড়েছে।

এতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের মূলধন বেড়েছে ৮৮৮ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার ৪২৪ টাকা। এর আগের দুই সপ্তাহে মূলধনের তারল্য ছিল ৪ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। ৪ মার্চ, শনিবার ডিএসই’র সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এমন তথ্য জানা যায়।

ফেব্রুয়ারি মাসের চতুর্থ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬২ হাজার ২২৬ কোটি ৯৮ লাখ ৩১ হাজার ১৪৮ টাকায়। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭২ টাকা। তারমানে টাকার অংকে মূলধন বেড়েছে ৮৮৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

সপ্তাহে (২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ) মোট ৫ কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৭২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৫৬টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১১১টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২০৫টির। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছিল ১৫টির, কমেছিল ১৫৩টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ১৮২টি কোম্পানির শেয়ারের দর।

দর কমার তুলনায় অধিকাংশ শেয়ারের দর বাড়ায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৫৭ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ২১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৯৩ কোটি ৯৩ লাখ ৪২ হাজার ২৮২ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯২ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৩০৫ টাকা। অর্থাৎ ৭০১ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৯৭৭ টাকা লেনদেন বেড়েছে, শতাংশের হিসেবে ৬৪ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে।

গেল সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডর। তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানি হলো: বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার, এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে এডিএন টেলিকম, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, শাইনপুকুর সিরামিকস, জেমিনি সি ফুড, আমরা নেটওয়ার্কস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, আলহাজ টেক্সটাইল মিলস এবং ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের শেয়ার।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্রে লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৫২ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ২৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৮১৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৩কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৩টির, কমেছে ৯৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিল ১২টির, কমেছিল ৯৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১০১টি কোম্পানির শেয়ার।

বিবার্তা/এমএ