নিয়ন্ত্রণে এসেছে সুন্দরবনের আগুন
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ১৩:৪৩
নিয়ন্ত্রণে এসেছে সুন্দরবনের আগুন
মোংলা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।


৬ মে, সোমবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) কর্মকর্তা লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী।


আগুন লাগার দ্বিতীয় দিন রবিবার (৫ মে) সকালে সুন্দরবন বিভাগের চারটি অফিসের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীসহ ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, শরণখোলা, কচুয়ার ৫টি স্টেশনের সদস্য, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, বিমান বাহিনী, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সুন্দরবন সুরক্ষায় টিমের স্থানীয় সদস্যরা একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে।



এই সংরক্ষিত বনের বিভিন্ন স্থানের প্রায় ৫ একর এলাকার ছোট-ছোট গাছপালাসহ লতাগুল্ম আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই অগ্নিকাণ্ডের স্থান ঘুরে কোন বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।


চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকার শনিবার বিকালে দিকে লোকালয়ের লোকজন সুন্দরবন বিভাগের বনের বিভিন্ন স্থানে ধোয়ার কুণ্ডলী দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি বন কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের বিষয়টি জানায়। আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়িসহ আশপাশের ৪টি বন অফিসের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীসহ স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।


অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ, মোংলা, শরণখোলা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আশপাশে পানির উৎস না থাকা ও সন্ধ্যা হয়ে আসায় তারাও বন কর্মকর্তা ও বনরক্ষীসহ স্থানীয়দের সাথে গহিন অরণ্য থেকে লোকালয়ে ফিরে আসে।


রবিবার সকালে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে’র নেতৃত্বে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহম্মদ নুরুল করিম বন কর্মকর্তা, বনরক্ষী ও সুন্দরবন সুরক্ষায় টিমের সদস্যদের দিয়ে প্রথমেই আগুন লাগার স্থানগুলোতে ঘিরে প্রায় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লাইন অফ ফায়ার (নালা) কেটে দেয়। দুই কিলোমিটার দূরে ভোলা নদী থেকে লাইন টেনে লাইন অফ ফায়ার নালায় পানি ভরে দেয়। যাতে আগুন বনের অন্য স্থানগুলোতে ছড়িয়ে পরতে না পারে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, শরণখোলা, কচুয়ার ৫টি স্টেশনের সদস্য বনের বিভিন্ন স্থানে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে।


এসময়ে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সুন্দরবন সুরক্ষায় টিমের স্থানীয় সদস্যরা একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। দুপুরে সুন্দরবন আগুন নিয়ন্ত্রণে এই প্রথম যুক্ত হয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টার থেকেও আগুন লাগা স্থানগুলোতে ফেলা হয় পানি। দুপুর ২টার মধ্যে আগুনের তীব্রতা কমে আসতে থাকে।


পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহম্মদ নুরুল করিম জানান, কি ভাবে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে চাঁদপাই রেঞ্জে কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট পাবার পর কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।


বিবার্তা/জাহিদ/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com