যে কোনো সংকট মোকাবেলায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে এক অনুকরণীয় নেতৃত্ব আমাদের নেত্রী, বাংলার গরীব, দুঃখী, মেহনতি মানুষের সর্বশেষ ঠিকানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাস নামক মহামারির কারণে সারা বিশ্বের সকল উন্নত রাষ্ট্রগুলো যখন বিপর্যস্ত এবং সংকট মোকাবেলায় সেসকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা মনোবল হারিয়ে হিমশিম খাচ্ছে তখন আমরা দেখতে পাই আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন যিনি চরম ধৈর্য্য, সাহসিকতা ও দৃঢ়তার সাথে করোনা সংকটের এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুধু সামনে থেকে নেতৃত্বই দিচ্ছেননা বাংলার মানুষের মনোবল বৃদ্ধিতে তিনি সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের এর মাধ্যমে নানা দিক নির্দেশনা ও বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন।
করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রপ্রধান যখন নিজের সুরক্ষায় ব্যস্ত সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি দিন ভোর থেকে গভীররাত পর্যন্ত বাংলার মানুষকে কিভাবে করোনা সংকট থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন সেই কর্মপরিকল্পনা, নানা নির্দেশনা, গরীব, দুঃখী, ছিন্নমূল, ভাসমান মানুষের ত্রাণ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এমনকি নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত যারা ত্রাণের জন্য কারো কাছে হাত পাততে পারেনা তাদের পরিচয় গোপন রেখে ত্রাণ বিতরণের জন্য স্থানীয় মাঠ প্রশাসনকে যেমন নির্দেশনা দিয়েছেন পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রিয় সংগঠন, তার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং তার নির্দেশনামতো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূলের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে, রোজা রেখে বাংলার প্রধান সম্পদ কৃষকের কষ্টের ফসল ধান তাদের কৃষকের ঘরে তুলে দেন। তাইতো ধীর স্থিরভাবে সাহসিকতার সাথে বিশ্ব ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংকট করোনা মোকাবেলায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে এক অনুকরণীয় নেতৃত্বের মডেল হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।
সংকট মোকাবেলায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী কেন বিশ্বসেরা হবেননা, তার মতো বিশ্বে কোনো রাষ্ট্রপ্রধান নিজের পিতা, মাতা ও পরিবারের এক বোন ছাড়া সকলকে হাড়িয়ে শুধু দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ও তার পিতা বাঙালি জাতির স্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজেকে বিসর্জন দেয়ার কোনো নজীর নেই। বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লড়াই করতে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ১৯ বার হত্যার জন্য হামলা করা হয়েছে কিন্তু মহান আল্লাহ তা'আলা নিজ হাতে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ও পিতা মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
শোককে শক্তিতে পরিণত করে যে কোনো সংকট মোকাবেলায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী সর্বশ্রেষ্ঠ ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। করোনা সংকটের শুরু থেকে এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলার সকল পদক্ষেপ ও প্রতিটি কার্যক্রম সরাসরি তত্বাবধান করেছেন গণভবন হতে, তিনি যে আমাদের দেশমাতৃকা ও দেশের প্রতিটি মানুষকে কতো ভালোবাসেন তার অনন্য উদাহরণ ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাতের রাতে উপকূলীয় এলাকার মানুষজনের জন্য মাঠ প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েই থেমে থাকেননি সারারাত জেগে সকল কার্যক্রম মনিটরিং করেন। দলমত নির্বিশেষে বাংলার মানুষের উন্নয়নের একমাত্র আলোর দিশারী, কোটি বাঙালির বেঁচে থাকাই শুধু নয় ভালোভাবে বেঁচে থাকার একমাত্র প্রেরণা আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। মহান আল্লাহ তা'আলা যেনো আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে তার নেক হায়াত দান করে এই হোক দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি বাঙ্গালির একমাত্র প্রার্থনা।
লেখক: সাবেক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।
বিবার্তা/জাহিদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]