
‘ষাট দশকে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসন, নিপীড়ন-শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার সংগ্রামে ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি পুলিশের গুলিতে আসাদ শহীদ হওয়ার ঘটনা বাংলার গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামী মানুষের প্রাণে জাগিয়েছিল অমিত সাহস ও প্রচণ্ড শক্তি’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) শীর্ষ নেতৃত্ব।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষ্যে পাঠানো বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদ আসাদের আত্মত্যাগেই ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। '৬৯-এর ধারাবাহিকতায় একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হলেও শহীদ আসাদের চেতনা কখনও ফুরাবার নয়। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় শহীদ আসাদের চেতনাকে শানিত করতে হবে।
তারা ৬৯-এর গণ-আন্দোলনের বীর সেনানী শহীদ আসাদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম কেবল ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেই সীমিত নয়। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। ৬৯'র গণঅভ্যুত্থান প্রকৃত অর্থে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সোপান রচনা করেছিল।
নেতৃদ্বয় বলেন, '৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাঙালিকে ঘরমুখো করেছিল, আর '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান সেই বাঙালিকে তার ঘরের ঠিকানা খুঁজে দিয়েছিল। স্বাধিকারের ঢিমেতাল আন্দোলন ঊনসত্তরের ২০ জানুয়ারি আসাদের শাহাদাতের পর সহসাই গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘১৯৬৯’র প্রচণ্ড গতিবেগই বস্তুত ’১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে তোলে। এ সকল বিচারে এটা নিঃসন্দেহে বলা চলে এদেশের মানুষের সম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদবিরোধী সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ’৬৯ একটি বড় মাইলফলক। আসাদ তাই জনগণের মুক্তির প্রেরণা আর উনসত্তর মুক্তির দিশারী।
তারা আরো বলেন, ‘কথায় কথায় এবং বক্তৃতা-বিবৃতিদানের সময় প্রায়শই আমরা বলি, আবেগভরা কণ্ঠে খুব গর্বের সঙ্গে বলে থাকি জাতীয় চেতনার কথা। কিন্তু মনের মধ্যে প্রশ্নের উদ্রেক হতেই পারে যে জাতীয় চেতনার এই গৌরব-গরিমা ও আবেগকে আমরা মনেপ্রাণে কতটুকু লালন ও ধারণ করি?’
নেতৃদ্বয় বলেন, শহিদ আসাদ ও ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। নানা বীরত্বগাথাসহ জাতির আন্দোলন-সংগ্রাম ও উত্থানের সঠিক ইতিহাস জানার কোনো বিকল্প নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে গণ-অভ্যুত্থান ও শহীদদের আত্মবলিদান নতুন প্রজন্মের কাছে অফুরন্ত অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]