আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পঁচাত্তরের পর গণতন্ত্র বিলীন হওয়ার পথে ছিল। সেই সময়ে শত প্রতিবন্ধকতার মুখেও শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণতন্ত্রে উদ্ধারে হাল ধরেছিলেন। যার কারণে আজকে বাংলাদেশে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির পরও গণতন্ত্র বিকাশে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি।
৬ ডিসেম্বর, বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিবকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। এটা শেখ হাসিনার কৃতিত্ব। এই মুহূর্তে অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করায় নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা আমাদের দাযিত্ব। আমরা সেই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আজকে বিএনপি গণবিচ্ছিন্ন দল হয়ে উঠছে। জনসম্পৃক্ততার অভাবে তাদের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন অগ্নি সন্ত্রাস, নাশকতার মধ্যে দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। গোয়েন্দাসহ বিভিন্ন সূত্রে আমরা এমন খবর পাচ্ছি।
আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে জানিয়ে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসনে চারজন কনটেস্ট করছে। আমার এলাকায়ও চারজন প্রার্থী। প্রতিযোগিতা হবেই। সাংবিধানিক ধারাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচন হচ্ছে। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করতে চাই।
শরিক দলের সাথে আসন বণ্টনের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৪ দলের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। যা হয়েছে দু'একদিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
জাতীয় পার্টির সাথে আসন বণ্টন নিয়ে কোনো আলোচনা হবে কিনা? এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, আগামী দিনে আমরা কিভাবে চলবে এক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য শুনার দরকার আছে। জাতীয় পার্টির সাথে যদি সমঝোতা করতে হয়। সেক্ষেত্রে তাদের তো ৩০০'র কাছাকাছি সিটে প্রার্থী আছে। সব সিটে সমঝোতা হবে আশা করা তো বাস্তবতা না।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/সোহেল/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]