শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে নয় পুরো বাংলাদেশকেই তারা হত্যা করতে চেয়েছিল: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:৩২
শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে নয় পুরো বাংলাদেশকেই তারা হত্যা করতে চেয়েছিল: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দাবি বঙ্গবন্ধুকে শুধু রাজনীতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণেই হত্যা করা হয়নি, ১০ বছরের রাসেলকে যখন হত্যা করা হয় তখন আমাদের বুঝতে হবে শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে নয় পুরো বাংলাদেশকেই তারা হত্যা করতে চেয়েছিল।


২২ আগস্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত ‌‘শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয় স্বপ্ন পূরণের দৃঢ় প্রত্যয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম (এমপি)। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য তারানা ইসলাম।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ছাত্রীরা সমাজের নারী প্রতিনিধিরা যে বাংলাদেশে আজকে বসবাস করছে তারা যদি ১৯৭৫ সালে থাকতেন তাহলে রোকেয়া হলের স্যারদের ম্যাডামদের উপস্থিতিতে এই প্রোগ্রাম করা যেত কি-না বা এই হলটি থাকতো কি-না তা কল্পনা করা যায় না।


বঙ্গবন্ধুকে শুধু রাজনীতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণেই হত্যা করা হয়নি, ১০ বছরের রাসেলকে যখন হত্যা করা হয় তখন আমাদের বুঝতে হবে শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে নয় পুরো বাংলাদেশকেই তারা হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা সফলও হয়েছিল এবং এই সফলতাকে তারা অনেক বছর ধরেও রেখেছিল।


পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো ব্যক্তি যে তার দেশকে স্বাধীন করেছে অথচ তার পরিবারকে সহ হত্যা করা হয়েছে এরকম কোনো নজির ইতিহাসে পাবেন না।


অলৌকিকতায় আমরা বিশ্বাস করিনা কিন্তু ২০-২২ বার যে ব্যক্তির উপর হত্যার চেষ্টা হয়েছে সে যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটা থেকেই বোঝা যায় শোককে শক্তিতে রূপান্তর করার বিরল একটি ঘটনা।


শোককে শক্তিতে রূপান্তর করেছিলেন শেখ হাসিনা, শক্তিতে রূপান্তর করেছে শেখ রেহানা। আমরা পারিনি, ছাত্রলীগ পারেনি, যুবলীগ পারেনি। সেই সুযোগ ছিল না।


There is absolutely nothing wrong with Bangladesh , there is absolutely nothing wrong with the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina. We are in the right track and on the right hands.


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিয়ে গেছেন, যে গতিতে আমরা এগিয়ে চলছি বঙ্গবন্ধু কন্যার কিছু হয়ে গেলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি আমাদের আছে কি না সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে।


প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য তারানা হালিম বলেন, আমাদের চেতনা অসাম্প্রদায়িকতা, তাদের চেতনা সাম্প্রদায়িকতা। তাদের চেতনা পাকিস্তানের চেতনা। এজন্য আমরা পাকিস্তানিদেরকে বলি হানাদার বাহিনী, সমর্থকদেরকে দেশ বিরোধী রাজাকার বলি আর তারা বলে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী। তাদেরকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলতে শোনা যায় না।বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন তারা গরু চুরি করে সেই গরু জবাই করে, মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি লুট করে উদ্‌যাপন করেছিলো।


তিনি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর যখন খালেদা জিয়া আইভি রহমানের সাথে দেখা করতে গেলেন তখন আইভি রহমানের পরিবারকে একটি কক্ষে আটক করে রাখা হয় যেন তারা প্রশ্ন তুলতে না পারে।


তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অনেক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু দমে যাননি। বঙ্গবন্ধু এ দেশের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।


এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে এক মুদি দোকানদারের স্ত্রী বলেছিলো আমার স্বামী মদ খায় জুয়া খেলে আমাকে লাঞ্ছনা করে, বঙ্গবন্ধু কষ্ট পেয়ে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন। এই যে ছোট ছোট সুন্দর কাজের জন্ম মানুষ বঙ্গবন্ধুকে মনে রাখবে সারা জীবন কিন্তু জিয়াউর রহমানের এমন কোনো স্মৃতি নেই। বঙ্গবন্ধুকে আমরা হারাইনি আমাদের চোখের জ্যোতিতে আছেন বঙ্গবন্ধু।


এসময় বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরল আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন মির্জা ফখরুলের বাবা রাজাকার ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে রাস্তায় দেখা না গেলেও পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর তাকে আনন্দ মিছিল করতে দেখা গিয়েছে।


রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জিনাত হুদা বলেন, মুজিব কোনো মানুষ নয়, মুজিব একটি দর্শন। এই দর্শনের ফলেই তিনি আজও বাংলার মানুষের কাছে বেঁচে আছেন।


এসময় তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা যে আজ নারী ক্ষমতায়নের রোল মডেল সেই ধারাটি শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন অন্তরা দাস পৃথা এবং সভাপতিত্বে ছিলেন আতিকা বিনতে হোসেন।


অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা মিলি। রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জিনাত হুদা।বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি হোসাইন সাদ্দাম এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিএম লিলি, রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী ইসলাম দিশা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।


বিবার্তা/ছাব্বির/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com