বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে টাকা পাচার করেছেন দাবি করে তাকে ‘চোর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷ বিএনপি আন্দোলনের এতো টাকা কোথায় পায় সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

২৮ জুলাই, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ’ শীর্ষক শান্তি সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান ফখরুলকে বলছে, আন্দোলনে টাকার অভাব হবে না। তারেক রহমান এতো টাকা পেল কোথায়? কোটি কোটি টাকা।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘লবিস্ট নিয়োগ করে টাকা দিয়ে৷ কিছুজনকে দিয়ে জাতিসংঘের, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডরের কাছে চিঠি লেখে। এই দুঃসাহস তারা পেল কোথায়? হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘তারেক জিয়া চোর হ্যায়, গলি গলি মে সোর হ্যায়’।

তিনি বলেন, চোখ রাঙাবেন না। দেশি-বিদেশি যারাই আজকে চোখ রাঙাচ্ছে আমাদের শেকড় এ মাটির অনেক গভীরে। চোখ রাঙিয়ে আমাদের উৎখাত করা যাবে না, যায় না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বস্ত প্রতিনিধি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা ধমক দিচ্ছে, চোখ রাঙাচ্ছে। এই চোখ রাঙানির দিন শেষ হয়ে গেছে। রাজনীতির খেলায়, আন্দোলনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারেনি। রাজনীতির খেলায় আওয়ামী লীগ চ্যাম্পিয়ন। তাহলে থাকে নির্বাচন। নির্বাচনে তো আপনারা আসবেন না।

কাদের বলেন, তারেক রহমান, ফখরুলরা, আমির খসরুরা আইন মানে না। এদের কথাবর্তা শুনলে মনে হয় এরা আইন মানে না, সুপ্রীমকোর্ট মানে না। কথায় কথায় তারেক রহমান সুপ্রীমকোর্টকে ধমক দিয়ে কথা বলে। তার সারাজীবনের দণ্ড হয়েছে। এতো অহংকার, এতো দম্ভ ভালো নয়। টাকার বাহাদুরি থাকবে না।

তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব, তারেক জিয়া যত লাফালাফি, যত তাফালিং করেন এই লাফালাফিতে কাজ হবে না। যতই তাফালিং করেন ক্ষমতায় ময়ুর সিংহাসন বহু দূরে চলে গেছে। ওইটা খুঁজে পাবেন না।

সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নমিনেশেন ঢাকায় নাই। এলাকায় যান মানুষের জন্য কিছু করুন। মানুষ ভালো বললে, ভালো রিপোর্ট আসলে শেখ হাসিনা বিবেচনা করবেন।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সংঘাত এভয়েড করতে হবে। আমরা ক্ষমতায় আমরা কেন সংঘাত করবো। বাংলাদেশের জনগণের জানমালের রক্ষা করা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ অতন্দ্র প্রগরীর মতো অবস্থান করবে।

বিএনপির পাল্টাপাল্টি আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৪, ২০১৫ সাল আপনারা কি দেখেন নি? তারা কোন অগ্নিমূর্তি ধারণ করে। শপথ নিয়েছি আগুন নিয়ে আসবেন, হাত পুড়িয়ে দিবো। শপথ নিয়েছি ভাঙচুর করতে আসবেন, হাত ভেঙে দিবো।

শান্তি সমাবেশের যৌথ আয়োজন করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।

শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম। এছাড়া বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক অফজালুর রহমান বাবু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

বিবার্তা/সোহেল/জবা