সংঘাত সৃষ্টি করাই আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের গোস্তাবলী বাজারে দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এছাড়া আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে গোস্তাবলী বাজারে গণসংযোগ, পদযাত্রা, হাটসভা ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রিন্স।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নিজস্ব কোনও কর্মসূচি নাই। বিএনপির কর্মসূচির দিনে উস্কানী, আতঙ্ক ও সংঘাত সৃষ্টি করাই তাদের কর্মসূচি। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কবর রচনা করে মাস্তানতন্ত্র কায়েম করেছে। এসব করে আওয়ামী লীগ দেউলিয়া দলে পরিণত হয়েছে ।

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম দফায় দফায় বাড়ানো হলেও বিদ্যুতের অভাবে শীতের মধ্যেও সীমাহীন লোডশেডিংয়ে সেচ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। কল-কারখানায় উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। জনগণ চরম দুর্ভোগে থাকলেও এদিকে সরকারের দৃষ্টি নাই।

‘তারা নিষ্ঠুর নির্যাতন, মিথ্যাচার ও বাক সন্ত্রাসে আন্দোলন দমনে ও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে মহাব্যস্ত।’

তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিজেদের ভরাডুবি নিশ্চিত জেনে নিজেদের ইচ্ছামত সংবিধান কাটাছিড়া করে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান বাদ দিয়ে এখন বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান মেনে দেশ স্বাধীন হয় নাই। ’৯৬ এর আগেও সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান ছিল না। তাই সংবিধানের দোহাই দিয়ে আর ভোট ডাকাতি করতে দেয়া হবে না।

প্রিন্স বলেন, বিএনপির আন্দোলনে জনবিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগ অগ্নিসন্ত্রাস করে এখন বিএনপির ওপর এর দায় চাপিয়ে দিতে নিরন্তর অপচেষ্টা করছে। তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থা তছনছ করে দুর্নীতি ও লুটপাট করে ফোকলা করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় অপশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

‘বিএনপি আমলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও, পোড়াও করে আজ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিকে অগ্রাহ্য করছে। আওয়ামী লীগ জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের চরম ভরাডুবি হবে। সেজন্য আবারও সাজানো, পাতানো নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে। তাদের এই দিবাস্বপ্ন এবার দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।’

জনসাধারণের প্রতি ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চূড়ান্ত আন্দোল শুরু হয়ে গেছে। আন্দোলনে বিজয় ছিনিয়ে দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, ফরহাদ রাব্বানী সুমন, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, বিএনপি নেতা আবদুল কুদ্দুছ, আবুল কাশেম ডলার, নয়ন মন্ডল, দুলাল হোসেন, ওয়াজেদ আলী মাস্টার, মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আমিনুল ইসলাম, ফরহাদ আল রাজি, কামরুল ইসলাম সুমন, সিরাজুল ইসলাম, হাসান শাহ, ফেরদৌস হোসেন হযরত, ফারুক হোসাইন, দেলোয়ার হোসেন, রাজু খান, আবদুল জলিল, জালাল উদ্দীন, সিরাজুল ইসলাম, তোফায়েল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিবার্তা/কিরণ/এসএফ