আওয়ামী লীগের লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৬
আওয়ামী লীগের লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ
সোহেল আহমদ
প্রিন্ট অ-অ+

২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ভিশন ২০২১’-এর মূল ভিত্তি হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ 'ডিজিটাল বাংলাদেশে' পরিণত হবে এমন ঘোষণাও দেন তিনি।


তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহার, সরকারি সেবা হয়েছে অনলাইনভিত্তিক। বর্তমানে দেশে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফলাফল, চাকরির আবেদনসহ সরকারি প্রায় সব ধরনের সেবা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে মানুষ ঘরে বসেই জরুরি খাদ্য সহায়তা, করোনা বিষয়ক তথ্যসেবা, টেলিমেডিসিন সেবা পেয়েছেন। ইন্টারনেট ব্যবহার সহজলভ্য হওয়ায় দেশে মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ই-কমার্স খাতও জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং দ্রুতগতিতে এর প্রসার হচ্ছে।


বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে প্রায় সাড়ে ১২শ’ ধরনের সেবা পাওয়া যায়। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৮ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৮৭ লাখ। ২০০৮ সালে দেশে ৪-জি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো শূন্য, আর বর্তমানে দেশে পরীক্ষামূলক ৫-জি চালু করার মধ্য দিয়ে আরো গতিশীল যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে অপটিক্যাল ফাইবার। গেল ১৪ বছরে দেশে গড়ে উঠেছে ৪৬টি হাইটেক পার্ক ও ইনকিউবিশন সেন্টার। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য সামনে রেখে রূপকল্প-২১ ঘোষণা করা হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হয়েছে।



টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার এবার ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নতুন রূপকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকার ও সমাজকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হয়েছে।



গত বছর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আগামী ৪১’ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। আর সেই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা চলে যাব।


জানা গেছে, সরকার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে সরকার চারটি ভিত্তি নির্ধারণ করেছেন। এগুলো হলো- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট বাংলাদেশে সবকিছু হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। সেখানে নাগরিকরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। এর মাধ্যমে সমগ্র অর্থনীতি পরিচালিত হবে।



স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত ‘এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই’ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর নাগরিক সেবা সহজিকরণে নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগে সহযোগিতা প্রদান করছে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বিনির্মাণে সহযোগিতা করছে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)।



এছাড়া সরকারের বিভিন্ন দফতর/সংস্থার সেবাকে সহজ করতে স্মার্ট সেবা পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এটুআই প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। এতে সরকারের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৪৮৫ কোটি টাকা।


জানতে চাইলে এটুআই প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির বিবার্তাকে বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞান-ভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা সরকারের নতুন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে এটুআই কাজ করেছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ‘ গড়তে সরকার চারটি ভিত্তি ঠিক করেছে। সরকারের সেবাগুলো সহজিকরণ করার পাশাপাশি এর মধ্যে আমাদের অংশে যতটুকু পড়ে তার কাজ শুরু করেছি।


তিনি বলেন, এটুআই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা এটুআইকে প্রকল্প থেকে এজেন্সিতে রূপান্তরিত করব।


ডিজিটাল বাংলাদশ:


এটুআই সূত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারি সংকটকালীন মুহূর্তে ঘরে বসেই অনলাইনে নাগরিকরা প্রায় সকল ধরনের সেবা পেয়েছেন। দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে- শিক্ষা, অফিস-আদালত, ব্যাংক, সভা-সেমিনার, কনফারেন্স ইত্যাদি অনলাইনভিত্তিক করার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাকাটা ঘরে বসেই করতে পেরেছেন।


এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিকে ঘিরে করোনা বিষয়ক তথ্যসেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে। প্রযুক্তির এই সহজলভ্যতার কারণে সকল ধরনের বিল ও আর্থিক লেনদেন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে। শুধু শহরেই নয়, বরং জেলা-উপজেলা সদর ছাড়িয়ে গ্রাম, এমনকি প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা পৌঁছে দেয়া গেছে।


ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারের বিভিন্ন সেবা প্রদান এবং এসব সেবা গ্রহণে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করার ইকোসিস্টেম তৈরিতে নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ‘গভটেক লিডারস’ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত গভটেক ম্যাচুরিটি ইনডেক্স (জিটিএমআই) ২০২২-এ এই অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ই-পার্টিসিপেশনে ২০ ধাপ এগিয়ে ৭৫তম এবং জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে ৮ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।


বিচারিক ব্যবস্থাকে সহজ করতে চালু হয়েছে অনলাইন কজলিস্ট, জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) অ্যাপ। গ্রামীণ অর্থনৈতিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাওয়া ডিজিটাল সেন্টারের ১ যুগ পূর্তি হয় ২০২২ সালে।


বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সহযোগিতায় এটুআই প্রাথমিক পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু করেছে। দেশের সকল পরিষেবা বিল, শিক্ষা সংক্রান্ত ফি ও অন্যান্য সকল ধরনের সরকারি সেবার ফি/বিল প্রদানের পদ্ধতি সহজ ও সমন্বিতকরণে চালু হওয়া সমন্বিত পেমেন্ট প্ল্যাটফরম ‘একপে’-তে বিভিন্ন ধরনের করতে নতুন ৮টি আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নতুন পেমেন্ট চ্যানেল যুক্তকরণ।


প্রতিবন্ধীদের বই পড়ার অধিকার নিশ্চিতে মারাকেশ চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। জাতীয় তথ্য বাতায়নের অধীন সকল ওয়েবসাইটকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ‘গ্লোবাল অ্যাকসেসিবিলিটি অ্যাওয়ার্নেস ডে’ উদযাপন করে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এটুআই-কর্তৃক উদ্ভাবিত মাল্টিমিডিয়া টকিং বই প্রণয়ন ও এর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।


দেশের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান বিষয়ে সঠিক পরামর্শ, নির্দেশনা ও মার্কেট লিংকেজ করার জন্য পাবলিক এবং প্রাইভেট ৫০টি ক্যারিয়ার গাইডেন্স সেন্টার একত্রিত করে ন্যাশনাল ক্যারিয়ার গাইডেন্স নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।


ভূমি বিষয়ক জরুরি সেবা প্রদানে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এবং ১৬১২২ একত্রে কাজ শুরু করেছে। ৩৩৩-২ নম্বরে ফোন করে ঘরে বসেই ডাকযোগে খতিয়ান (পর্চা) ও জমির ম্যাপ প্রাপ্তি, যেকোনো স্থান থেকে খতিয়ান ও নামজারি ফি এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ, নামজারি আবেদন করা, ভূমি আইন ও বিধিবিধান সংক্রান্ত তথ্য এবং বিবিধ অভিযোগ ইত্যাদি সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।


এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর বিবার্তাকে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবতা। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণার ১৪ বছর পার হয়েছে। বাংলাদেশ আজ আইটি নির্ভর দেশ হিসেবে স্বীকৃত। সারা দেশের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারে উপকারিতা পাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে আমাদের প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়ছে।


তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধ্যুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আমাদের আজকের প্রজন্ম প্রযুক্তিতে অনেক ধাপ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম যেকোনো দেশের তুলনায় প্রযুক্তিতে সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়ার মতো যোগ্যতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।


আব্দুস সবুর বলেন, বঙ্গবন্ধ্যুকন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশে সবকিছু হবে প্রযুক্তি নির্ভর। নাগরিকরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে, প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের সমগ্র অর্থনীতি পরিচালিত হবে। আমরা বঙ্গবন্ধ্যুকন্যার নেতৃত্বে সেই লক্ষ্য অর্জনেই কাজ করছি।


আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বিবার্তাকে বলেন, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়-এর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।


তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পরবর্তী ধাপ স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের টার্গেটে আওয়ামী লীগ জাতির সামনে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে এসেছে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাব। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা যখন আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া হয়েছিল তখন অনেকেই কটাক্ষ করেছিল। যারা অপরাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে তারাই কটাক্ষ করেছে। অথচ আজ তারাই সুবিধা ভোগ করছে।


সুজিত রায় নন্দী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর। প্রতিটি নাগরিককে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকনোমি, স্মার্ট সোসাইটি গড়ার লক্ষ্যেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।


বিবার্তা/সোহেল/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com