শিরোনাম
শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে যুবলীগের মাসব্যাপী কর্মসূচি
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২১, ২২:০৪
শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে যুবলীগের মাসব্যাপী কর্মসূচি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সিঁড়ি ভেঙে রক্ত নেমে গেছে-


স্বপ্নের স্বদেশ ব্যেপে


সবুজ শস্যের মাঠ বেয়ে


অমল রক্তের ধারা ব’য়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে॥’


শোকাবহ আগস্ট মাস মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূঁর শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।


সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকান্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী, মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের, জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতার ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নৃশংসভাবে নিহত হন।


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সকল অনুভূতি, ত্যাগ, সংগ্রাম, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় প্রত্যয়, বাঙালি জাতির প্রতি গভীর ভালোবাসা, মমত্ববোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শের দ্বারা সমগ্র বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত আত্মত্যাগে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ’৪৮-এর ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্মলাভ, ’৪৮-এর মার্চে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রতিবাদে আন্দোলন, ’৪৯-এর ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম, ’৫২-এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র নেতৃত্বে ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬-দফা, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও ১১-দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচনে ‘আওয়ামী লীগ’-এর নিরঙ্কুশ বিজয়সহ ইতিহাস সৃষ্টিকারী নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্খা চূড়ান্ত লক্ষ্যে এগিয়ে যায়। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিশপথে ঐক্যবদ্ধ হয় বাঙালি জাতি। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বে পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষের পরম আত্মীয়, শত বছরের ঘোর নিশীথিনীর তিমির বিদারী অরুণ, ইতিহাসের বিস্ময়কর নেতৃত্বের কালজয়ী স্রষ্টা, বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, বাঙালি জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, উন্নত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন সারথি।


‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট নরপিশাচরূপী খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্কের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়। জাতির পিতার সুযোগ্যকন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেন।


বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব, তাঁর চেতনা অবিনশ্বর। বাঙালি জাতির অস্থিমজ্জায় মিশে আছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিবাদর্শে শাণিত বাংলার আকাশ-বাতাস জল-সমতল। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকবে।


জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্রকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘‘মুজিব শতবর্ষ”পালন করছে।


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র সুযোগ্য সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।


প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শোকার্ত বাঙালি জাতির সাথে একাত্ম হয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে আগস্ট মাসব্যাপী কেন্দ্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যুবলীগ। করোনা মহামারীর সংক্রমণ রোধে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে মাসব্যাপী শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ-এর সর্বস্তরের নেতা-কর্মী সমর্থক এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল। একইসাথে তারা বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সকল সাংগঠনিক জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সমস্ত শাখার নেতৃবৃন্দকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গৃহীত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন।


শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের মাসব্যাপী কর্মসূচির নিম্নরূপ :


১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কোরআন খতম (প্রতিদিন ১ পারা), বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের স্মরণে দোয়া ও ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ।


৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল এর জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ৮:৩০ মিনিটে আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৯:১৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআন খতম, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ।


৮ আগস্ট মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআন খতম, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ।


১৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে বাদ আসর “১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের স্মরণে”মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং করোনায় অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।


১৪ আগস্ট ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে বাদ আসর বনানী কবরস্থানে “১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের স্মরণে” মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং করোনায় অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।


১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকাল ৮:৩০ মিনিটে ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৯:১৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ১১:০০মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিনিধি দলের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে টুঙ্গিপাড়া মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং তবারক বিতরণ করা হবে। এছাড়াও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।


১৬ আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ।


১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ।


২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা।


২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ এবং দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।


২৪ আগস্ট নারী নেত্রী আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ এবং যুবলীগের উদ্যোগে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের পরিবার ও আহতদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ।


সকল সাংগঠনিক জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে শোকাবহ আগস্ট মাস ও করোনার মহাসংকটে অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে মাসব্যাপী রান্না করা খাবার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ একইসাথে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।


বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com