শিরোনাম
"সরকারের উদাসীনতায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে"
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৩৯
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের উদাসীনতা, ব্যর্থতায় বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশে গত বছরের তুলনায় করোনাভাইরাস মহামারী এখন আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দিতে পূর্বের বছরের মতোই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে সরকার।


আজ বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।


ফরিদপুরের সালথায় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নামে-বেনামে চার হাজার জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও ইতোমধ্যে ২১ জন গ্রেফতারের প্রতিবাদে মির্জা ফখরুল এ বিবৃতি প্রদান করেন।


ফখরুল বলেন, পরিস্থিতির ভয়াবহতা রোধে সরকার কোন চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে গত ৫ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য দেশে লকডাউন/নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। সরকারঘোষিত লকডাউনের বিরুদ্ধে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। প্রকৃতঅর্থে লকডাউন বলতে যা বোঝায় রাস্তাঘাটে তার কোন সামান্যতম চিত্রও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কেবলমাত্র দেশের বড় বড় মার্কেট, শপিং মল ছাড়া সবকিছু খোলা রাখা হয়েছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বড় বড় ব্যবসায়ীসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দোকান কর্মচারী ও নিম্ম আয়ের মানুষ। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে।


তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের বাস্তবভিত্তিক ও পরিকল্পিত কোন পদক্ষেপ নেই। ফলে সরকার লকডাউন সঠিকভাবে কার্যকর করতে ব্যর্থ হচ্ছে। জোরপূর্বক নির্যাতন-নিপীড়ণ চালিয়ে লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে এখন জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে সরকার। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতাও নেই তাদের। ১২ বছরের অধিক কাল ভয়াবহ দুঃশাসনের জন্য জনগণের নিকট সরকারকে জবাবদিহি করতেই হবে।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফরিদপুরের সালথায় গত ৫ এপ্রিল করোনা মোকাবেলায় সরকারের অপরিকল্পিত লকডাউনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় একজন পদস্থ সরকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তার কর্মচারী কর্তৃক একজন দোকান কর্মচারীকে নির্মমভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদে স্থানীয় জনসাধারন ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। জনসাধারণের বিক্ষোভ দমন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ ও একজনকে হত্যার পর উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে উল্টো বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীসহ নামে-বেনামে চার হাজার সাধারণ মানুষকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের প্রমাণ করে সরকার মহামারী করোনা মোকাবেলা নয়, বরং মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিকভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।


মির্জা ফখরুল বলেন, সালথায় চার হাজার জনকে অজ্ঞাত রেখে ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার ৮৮ জনের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। বর্তমানে সালথায় পুলিশী গ্রেফতারী অভিযানের কারণে সারা এলাকা মানুষশুণ্য হয়ে গেছে। সেখানে ভয়, আতঙ্ক ও বিভিষিকাময় পরিবেশ বিরাজ করছে। গ্রেফতারের নামে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশী অভিযানে নিরীহ মানুষকে হয়রানী ও নির্যাতন করা হচ্ছে। সালথার ঘটনার সাথে বিএনপি কোনভাবে জড়িত না থাকলেও কেবলমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, অথচ গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে-সালথার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের উস্কানি ছিল।


বিবার্তা/জাহিদ/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com