উচ্ছ্বল ঝরনার শীতল স্পর্শ বিলাসী ঝরনায়
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২১
উচ্ছ্বল ঝরনার শীতল স্পর্শ বিলাসী ঝরনায়
পর্যটন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকার বিলাসী ঝরনায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পায়ে হেঁটে মাত্র ৪০ মিনিট পথ পাঁড়ি দিয়ে যাওয়া যাবে এই ঝরনায়।


তবে বর্ষা মৌসুমে বেশি পানি থাকে ঝরনাটিতে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিলাসী ঝরনায় ছুটে যাচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। জানা গেছে, পাহাড় ও সমুদ্র বরাবরই আকর্ষণ করে ঘুরতে আসা দেশি ও বিদেশি সব পর্যটকদের মন।


প্রকৃতির এ নিবিড় ছোঁয়া আর বুক উজার করা সৌন্দর্য যেন মুহুর্তেই ভুলিয়ে দেয় জীবনের যাবতীয় হতাশা। শীত এলেই শুরু হয় পর্যটন মৌসুম। পাহাড়ি প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্য পেতে আর উচ্ছ্বল ঝরনার শীতল স্পর্শ পেতে হলে চলে আসুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বিলাসী ঝরনায়।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪ কিলেমিটার পশ্চিমে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত ও পূর্বপাশে বিলাসী ঝরনা। একদিনেই পাহাড়ি ঝরনা ও সমুদ্রের নোনা পানির স্বাদ নেওয়া যেতে পারে।



বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বপাশে পাহাড়ে এই ঝরনার অবস্থান। এখানে আগত দর্শনার্থীদের জন্য কোনো টিকিটের ব্যবস্থা নেই।



রেললাইন পার হলেই দেখা মেলে বিশাল পাহাড়ের। সেই পর্যন্ত গাড়ি যাবে। তারপর পুরো পথ পায়ে হেঁটে যেতে হবে। পাহাড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর নামতে হবে বারমাশি ছরায়। ছরা দিয়ে যেতে হবে ঝরনা পর্যন্ত।


তবে, ছরায় ছোট-বড় পাথর আছে। অনেক পাথর পিচ্ছিল, সতর্কভাবে না হাঁটলে পড়ে যে কোনো দুর্ঘটনার ঝুঁকি আছে। তাই দেখে শুনে চলতে হবে।


ছরার কোনো কোনো স্থানে হাঁটু কিংবা তার চেয়ে বেশি পানি আছে। সাথে থাকা, মোবাইল, মানিব্যাগ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আগে থেকে ব্যাগে ভরে রাখলে ভালো।


এখানে এসে পানির পানির স্নিগ্ধ পরশ পাওয়ার লোভ সামলানো দায়। পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে উঠে ডুবন্ত সুর্য ও সমুদ্রতট দেখা যাবে পশ্চিমে তাকালে। ছবির মতো দেখতে অদূরবর্তী সমুদ্রের রূপ না দেখলে বুঝা যায় না।


যেভাবে যাবেন


দেশের যে কোনো স্থান থেকে গাড়ি যোগে বাঁশবাড়িয়া বাজারে নামতে হবে। এরপর বাজারের পূর্বদিকে একটি রাস্তা আছে। সেই রাস্তা দিয়ে গেলে দেড় কিলোমিটার পথ পাঁড়ি দিয়ে মিলবে বিলাসী ঝরনা।


থাকা ও খাওয়া


বাঁশবাড়িয়া বাজারে খুব বেশি ভালো খাবারের হোটেল নেই। ভালো খাবারের জন্য যেতে হবে সীতাকুণ্ড সদর কিংবা চট্টগ্রাম শহরে। থাকার জন্য সীতাকুণ্ডে কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com