শিরোনাম
তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য : গ্যাটস
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৮, ১৭:২৬
তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য : গ্যাটস
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারকারীর হার ৮ শতাংশ কমেছে। এছাড়া ধূমপায়ী এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার কমেছে যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ৬.৬ শতাংশ।


গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে (গ্যাটস)-এর ২০১৭ সালের গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এ সাফল্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ১৪ আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের উপস্থিতিতে গবেষণার এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।


প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে তামাক ব্যবহারকারীর হার ৩৫.৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লক্ষ)। এর মধ্যে, ধূমপায়ীর হার ১৮ শতাংশ (১ কোটি ৯২ লক্ষ) এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর হার ২০.৬ শতাংশ (২ কোটি ২০ লক্ষ)।


গ্যাটস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ও বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে দেশের ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠির ওপর এ জরিপ চালায়। এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জরিপ, যা তামাক ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ পর্যবেক্ষণের একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর এ জরিপ পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের তামাক ব্যবহার সংক্রান্ত একটি তুলনামূলক চিত্র পাওয়া যায়, যার ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্যের উপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব নির্ধারণ ও সেই আলোকে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এর আগে ২০০৯ সালে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল।


এদিকে তামাকবিরোধী আন্দোলনকারীরা বলছেন, এই ফলাফল প্রশংসনীয় এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ''২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ'' গড়ার পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কিছু দুর্বলতার কারণে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অর্জন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পোঁছায়নি।


তামাকবিরোধী সংগঠন প্রগতির জন্যে জ্ঞান (প্রজ্ঞা) বলেছে, একদিকে দেশ যখন তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করছে, ঠিক সেই মুহূর্তে বৈদেশিক বিনিয়োগ আনার নামে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তামাক কোম্পানি জাপান টোব্যাকো (জেটি) গ্রুপকে বাংলাদেশে সরাসরি ব্যবসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।


সংস্থাটি বলেছে, এমনিতেই বহুজাতিক তামাক কম্পানিগুলো পণ্যের বৈচিত্র্য এবং আগ্রাসী বিপণনকৌশল অবলম্বন করে দ্রুত বাজার দখল করে নেয়, বিশেষ করে তরুণসমাজ এতে আকৃষ্ট হয় বেশি। তার ওপর দেশে নতুন করে তামাক ব্যবসার সুযোগ দিলে তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের এই অর্জন নস্যাৎ হয়ে যাবে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।


বিবার্তা/হুমায়ুন/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com