শিরোনাম
‘বাংলাদেশ এগোলেও চার কোটি মানুষ খাদ্যসঙ্কটে’
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ১৭:২৯
‘বাংলাদেশ এগোলেও চার কোটি মানুষ খাদ্যসঙ্কটে’
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশের অগ্রগতি হলেও অন্তত চার কোটি মানুষ এখনও খাদ্যসঙ্কটে রয়েছেন। নানা পদক্ষেপের পরও গত কয়েকবছরে দেশের অতি অপুষ্টিহীনতার হার সন্তোষজনক পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। প্রতি তিনজনে একটি শিশু শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশের ক্ষেত্রে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।


জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।


‘স্ট্র্যাটেজিক রিভিউ অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশ’শিরোনামে প্রতিবেদনটি তৈরি করে জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।


প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের এক-চতুর্থাংশ মানুষ তিনবেলা পেটপুরে খেতে পারছেন না। ইচ্ছেমতো বৈচিত্র্যময় খাবার সংগ্রহ করতে পারেন না। এজন্য তারা অপুষ্টির শিকার। দেশের গ্রামাঞ্চল ও শহরের বস্তিতে এ প্রবণতার হার বেশি।


এ সংক্রান্ত গবেষণা দলের প্রধান ছিলেন নর্দান আয়ারল্যান্ডের আলস্টার ইউনিভার্সিটির ডেভেলপমেন্ট ইকোনোমিক্স বিভাগের অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান ওসমানী। দলটি ১০ মাস সময় ধরে গুণগত ও পরিমাণগতসহ নানা মেথোডলজির মাধ্যমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অপুষ্টি, জলবায়ূ পরিবর্তন, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা প্রভৃতি ইস্যু নিয়ে গবেষণার পর এ প্রতিবেদন তৈরি করেন।


প্রতিবেদন তৈরিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও নানা উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা নেয়া হয়।


প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানেঅর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য আমরা ২০২৪ সালের মধ্যে ক্ষুদামুক্ত বাংলাদেশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে অপুষ্টি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণেল লক্ষ্য স্থির করেছি। আর এটি অর্জন করতে প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের উপকারে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


প্রতিবেদনে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ সমসাময়িক দেশের অপুষ্টি দূরীকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করতে হবে। অপুষ্টির হার কমাতে গণসচেতনতাসহ সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বরাদ্দ, দায়িত্ব সচেতনতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। সমাজের প্রতিটি নাগরিককে এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। নারীদের বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও চাষাবাদের পদ্ধতিতে বৈচিত্র্যতা আনতে হবে। জোরদার করতে হবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি।


২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশসহ সমসাময়িক দেশসমুহের বাস্তব অগ্রগতি তুলে ধরতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।


বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/মনোজ/



সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com