শিরোনাম
নিরাপত্তা চাদরে রাজধানী
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:০৮
নিরাপত্তা চাদরে রাজধানী
খলিলুর রহমান
প্রিন্ট অ-অ+

থার্টিফার্স্টনাইট উপলক্ষে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী নিরাপত্তাকর্মীরা রাজধানীর অলিতে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে। পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা এমন তথ্য জানিয়েছেন।


জানা গেছে, থার্টিফার্স্টনাইট উপলক্ষে শনিবার রাজধানীতে ১০ হাজার পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এর পাশাপাশি র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসাদা পোশাকধারী সদস্যরা কাজ করবেন।


এদিকে, থার্টিফার্স্টনাইটে রাজধানীতে সব ধরনের উৎসব, সমাবেশ, জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি মোড়, ফ্লাইওভার, ফাঁকা রাস্তায় প্রকাশ্যে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না।


রাজধানীর গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের রাত ৮টার মধ্যে বাসার ফেরার জন্য জানানো হয়েছে। গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলী ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং উম্মুক্ত থাকবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে এ দু’টি ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।


সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ত্যাগ করার জন্য বহিরাগতদের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।


রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করেত দেয়া হবে না। নগরীর কোথাও আতশবাজি বা পটকা ফুটানো যাবে না। এছাড়াও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ।


এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা হতে পহেলা ১ ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।


অতীতের থার্টিফার্স্টনাইটের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এ আনন্দ উৎসব উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে থাকে।


কিছু সংখ্যক ব্যক্তির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রতি ইঙ্গিত করে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কতিপয় ব্যক্তি আনন্দের আতিশয্যে পটকাবাজি, আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এমনকি অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটিয়েও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। ক্ষেত্র বিশেষে প্রকাশ্যে আপত্তিকর আচরণ করে থাকে। এ সব নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে।


তাই ৩১ ডিসেম্বর রাতে পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি, মোটরসাইকেল চালনাসহ যে কোনো ধরনের অশোভন আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপির এ শীর্ষ কর্মকর্তা।


বিবার্তা/খলিল/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com