বিশ্বে প্রতি বছর ৪ জানুয়ারি ব্রেইল দিবস পালন করা হয়। আজকের এই দিনে সারাবিশ্বে পালন করা হয় দিবসটি।
অন্ধ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পড়া ও লেখার বিশেষ পদ্ধতির নাম ব্রেইল। এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন লুইস ব্রেইল।
১৮০৯ সালের ৪ জানুয়ারি প্যারিসের নিকটবর্তী কুপভেরি শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ব্রেইল। তার প্রতি সম্মান রেখেই জন্মদিনে পালন করা হয় ‘ব্রেইল দিবস’।
২০১৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ঘোষণা করা হয়েছিল দিবসটি। এরপর ২০১৯ সালে চার জানুয়ারি প্রথম ‘ব্রেইল দিবস’ পালিত হয়।
এই পদ্ধতি আবিষ্কারের দৃষ্টিহীনরা শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। মেধা এবং দক্ষতায় নিজেদের প্রমাণ করতে পারছে।
মাত্র তিন বছর বয়সে অন্ধ হয়ে যান লুইস ব্রেইল। তারপরও তার জীবন থেমে থাকেনি। পড়াশোনার জন্য তিনি ভর্তি হয়েছিলেন প্যারিসের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য তৈরি বিশেষ স্কুলে। সেখানে তিনি জানতে পারেন অ্যালফাবেট কোডের কথা। শত্রুপক্ষের নিশানা থেকে বাঁচতে ফরাসি সৈন্যরা রাতে তাদের অফিসারদের সাথে এ কোডে ব্যবহার করতেন। যা ছিল বেশ কিছু অ্যালফাবেট কোড বিন্দু আর ছোট লাইনের সমষ্টি। সেগুলো এমনভাবে খোদাই ছিল আঙুল স্পর্শ করলেই পড়া যেত। মূলত এ পদ্ধতি থেকেই ব্রেইলের মাথায় অন্ধদের শিক্ষার কৌশল মাথায় আসে।
২০ বছর বয়সে অন্যান্য অন্ধ ব্যক্তিকে শিক্ষা দিতে তিনি অগ্রসর হন; ১৮২৭ সালে প্রথম ব্রেইল পদ্ধতির বই প্রকাশ করেন।
ব্রেইল পদ্ধতিতে ছয়টি ডট দিয়ে অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন ইত্যাদিকে চিহ্নিত করা হয়। ব্যবহারকারীরা সেগুলোর ওপর আঙুল বুলিয়ে অক্ষরগুলো অনুধাবন করেন; সেখানে নিজের ভাব অনুযায়ী কাজ করেন।
তবে এই পদ্ধতি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের আশীর্বাদ। যা সাধারণ মানুষ উপলব্ধি করতে পারে না।
বিবার্তা/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]