
দেশে আকস্মিক বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সেসব জেলার কৃষকদের সেবা দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২২ আগস্ট, বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এ নির্দেশনা দেন।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুসারে আকস্মিক এ বন্যায় আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ- মুন্সিগঞ্জে ২৩০.৭ হেক্টর, সিলেট ৩ হাজার ৩৮৯ হেক্টর, মৌলভীবাজারে ৪৩ হাজার ২৭১ হেক্টর, হবিগঞ্জ ৬ হাজার ৮৯৪ হেক্টর, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ৮৯ হেক্টর, কক্সবাজারে ৪ হাজার ২৮৯ হেক্টর, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৭৪৫ হেক্টর, ফেনীতে ৩১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর, লক্ষ্মীপুরে ৯ হাজার ৪৭৮ হেক্টর, কুমিল্লায় ৬৫ হাজার ১৩৫ হেক্টর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ হাজার ৪১৪ হেক্টর এবং চাঁদপুরে ১০ হাজার ৯২২ হেক্টর।
এছাড়াও আক্রান্ত ১২ জেলার মোট ফসলের ক্ষতির পরিমাণ- আউশ ৬৮ হাজার ২০৯ হেক্টর, আমন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৯ হেক্টর, বোনা আমন ৫৭০ হেক্টর, রোপা আমন বীজতলা ১২ হাজার ৯১০ হেক্টর, শাক-সবজি ৯ হাজার ৫১৯ হেক্টর, আখ ৩৮৪ হেক্টর এবং পান ১৯১ হেক্টর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর হতে কৃষকদের জন্য বন্যা পরবর্তী সময়ে উঁচু এলাকায় আপদকালীন নাবী জাতের রোপা আমন বীজতলা তৈরি, ভাসমান বীজতলা তৈরি, স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উফশী জাত আবাদ, স্বল্প মেয়াদি রোপা আমন ধানের (ব্রি ধান-৫৬, ৫৭, ৭৫, ৮৭) আবাদ, বন্যা সহনশীল জাত ব্রি ধান-৫১, ৫২, ৭৯ জাতের আবাদ বৃদ্ধি, ভাসমান বেডে শাক সবজি আবাদের ব্যবস্থা করা, বস্তায় লতা জাতীয় ও মশলা (মরিচ, আদা) আবাদ, নাবী জাতের রোপা আমন, বিআর-২২, ২৩ এবং স্থানীয় গাইঞ্জা, আবছায়া চাষে, ডাবল ট্রান্সপ্লান্টিং পদ্ধতিতে রোপা আমন চাষ বৃদ্ধি ও ধানের অঙ্কুরিত বীজ সরাসরি বপন করার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় হতে কৃষকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]