
চলমান চার দফা দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে এক দফা দাবিতে নামিয়ে এনে ফের সারা দেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
৭ জুলাই, রবিবার বিকেল ৩টা থেকে টানা ৫ ঘণ্টা অবরোধের পর রাত ৮টায় শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচির শেষে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সব ধরনের অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ব্লকেড কর্মসূচিতে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী কোটা সম্পর্কে কথা বলেছেন। আমরা সংবিধান দেখিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছি। সংবিধানে বলা হয়েছে, নাগরিকের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আমরা সংবিধানের পক্ষে লড়াই করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিল করেছিলেন। আমরা আশা করে এবারও তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিকে মেনে কোটা আন্দোলনের চূড়ান্ত সুরাহা করবেন।
কোটা প্রথাকে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা হয় দাবি আদায় করে ছাড়বো নয়তো দেশ ছাড়বো। আমাদের কোনো দাবি যদি আপনাদের কাছে যৌক্তিক মনে না হয় তাহলে আমাদের একটি দাবি পূরণ করবেন। দেশে ১০০% কোটা নিশ্চিত করে দেবেন। যে প্রশাসন কোটাধারীদের প্রশাসন সে প্রশাসনে আমরা যেতে চাই না। হয়তো এই আন্দোলন থেকে কোটা প্রথা চূড়ান্ত নিরসন হবে নয়তো এই দেশকে কোটাধারীদের দেশ ঘোষণা করতে হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত থাকবে। আগামীকালও সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন পয়েন্টে ব্লকেড কর্মসূচি চলবে। আজকে আমরা শাহবাগ থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত গিয়েছি আগামীকাল ফার্মগেট পার হয়ে যাবো। শিক্ষার্থীদেরকে আগামীকাল সাড়ে ৩টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ব্লকেড কর্মসূচিতে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আমাদের দাবি যে যৌক্তিক তা ২০১৮ সালেই প্রমাণ করেছি। তখন তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবারও তিনি কার্যকর প্রদক্ষেপ নেবেন বলে আশাকরি। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন আমাদের দাবি হয় পূরণ হবে নয়তো আমাদের দেশ ছাড়তে হবে। যে দেশে মেধাবীদের সম্মান নেই সে দেশে মেধাবীরা থাকে না।
তারা বলেন, সকল ক্ষেত্রে, সকল ধরনের কোটা বাতিল করতে হবে। সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কোটা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আমাদের কর্মসূচি চলবে। আগামীকাল থেকে আমাদের পূর্ব ঘোষিত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-বর্জন চলমান থাকবে। বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হবে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন ধরে টানা আন্দোলন করে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। গেলো শনিবার (৬ জুলাই) শাহবাগের অবরোধ থেকে প্রথমবারের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]