জাতীয়
আগামীকাল স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ উদ্বোধন
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ২১:১২
আগামীকাল স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ উদ্বোধন
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পরে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য ‘অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস) ও স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ’ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।


১২ নভেম্বর, রবিবার আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তফসিল ঘোষণার আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।


এ অ্যাপের মাধ্যমে বিভাগওয়ারি আসনগুলোর তথ্য, যেমন- মোট ভোটার, মোট আসন, আসনের প্রার্থী, প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য (হলফনামা, আয়কর সম্পর্কিত তথ্য, নির্বাচনী ব্যয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণী) জানতে পারবেন।


অ্যাপের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, Smart Election Management BD অ্যাপস এর মাধ্যমে একজন ভোটার ঘরে বসে তার ভোটার নম্বর জানতে পারবেন। পাশাপাশি তার ভোটার এলাকা, নির্বাচনী আসন, ভোটকেন্দ্রের নাম জানতে পারবেন এবং ভোটকেন্দ্রের ছবি, ভোটকেন্দ্রের ভৌগোলিক অবস্থান (ম্যাপ সহ) দেখতে পাবেন। এছাড়া, অ্যাপসটির মাধ্যমে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তথ্য জানা যাবে এবং সমসাময়িক তথ্যাবলি ‘নোটিশ’ আকারে প্রদর্শিত হবে। অ্যাপসটির সাহায্যে প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর চলমান ভোটিং কার্যক্রমের periodical তথ্য (casted vote) জানা যাবে।


আহসান হাবিব খান আরও জানান, নির্বাচনী ফলাফলের সার্বিক অবস্থাসহ (status- যেমন- ‘গণনা চলে…’ ইত্যাদি) ‘ফলাফল বিশ্লেষণ’ নামক অপশনের মাধ্যমে একজন ভোটার পূর্ববর্তী নির্বাচন এবং বর্তমান নির্বাচনের ফলাফলের গ্রাফিক্যাল বর্ণনাও পাবেন।


প্রযুক্তি নির্ভর ভোট ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কর্মপরিকল্পনায় ছিল উল্লেখ করে এ নির্বাচন কমিশনার জানান, এ ধারাবাহিকতায় মনোনয়নপত্র অনলাইনে দাখিল ও মোবাইল অ্যাপস এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নির্বাচন ব্যবস্থাপনাও এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ যুগে যুক্ত হল। তফসিল ঘোষণার পর তা সবার জন্য উন্মুক্ত হবে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় শো ডাউন, মিছিল করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা যেমন রোধ হবে, এ ছাড়াও নোমিনেশন জমা দানে বাধা দেওয়া অথবা প্রত্যাহারের জন্য চাপ (বিভিন্ন সময় অভিযোগ আসে) করা সম্ভব হবে না। সংসদ নির্বাচন ছাড়াও স্থানীয় সরকারের যেকোনো নির্বাচনে মনোনয়ন জমাসহ নির্বাচনী সেবা সহজতর হবে। এ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নির্বাচনী হলফনামা, ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য, নির্বাচনী তথ্য মিলবে।


তিনি আরও বলেন, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকার কারণে প্রার্থীরাও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন হবেন। সর্বোপরি ভোটার, প্রার্থী, জনগণ এ তিনের আস্থা/বিশ্বাস অর্জনে একধাপ এগিয়ে থেকে নির্বাচন ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ার দিকে অগ্রগামী হবে। আর সার্বিক বিষয়াবলি নির্বাচন ব্যবস্থাপনাকে সহজ, trustworthy করবে।


অ্যাপ ব্যবহারে নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় যে ধরনের পরিবর্তন আনবে-


*ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম ও ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে পূর্ব ধারণা নিশ্চিতভাবে ভোটারকে সময়ের অপচয়, বিড়ম্বনা এবং কিছুক্ষেত্রে, ‘হয়রানি’ হতে রক্ষা করবে।
*ভোটার নম্বর জানা থাকার কারণে ভোটার তালিকায় সিরিয়াল নম্বর সহজে নির্ণয় হবে, এজন্য কোনো রাজনৈতিক দলের ক্যাম্পেইনের শরণাপন্ন হতে হবে না।
*নির্বাচনে প্রার্থীদের তথ্য সম্পর্কে সহজে অবহিত হওয়া, তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ, সমসাময়িক ফলাফলের পাশাপাশি নির্বাচনি ফলাফল জ্ঞাত হওয়ার মতো বিষয়গুলো ভোটারদের উদ্দীপ্ত করবে- বলে আশা করা যায়।
*অ্যাপস এর মাধ্যমে একজন ভোটার প্রার্থীদের তথ্যাবলি বিশ্লেষণ করে পছন্দসই প্রার্থী বেছে নিতে পারেন।
*ভোটার তার নির্বাচনি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা জানতে পারবেন, যাতে করে চূড়ান্ত ফলাফলে ভোটসংখ্যা সংক্রান্ত কোন বিভ্রান্তির অবকাশ থাকবেনা।


ইসি সূত্রে জানা যায়, প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার এই পদ্ধতি চালু করতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২১ কোটি টাকা। যার মধ্যে সফটওয়্যারের পেছনে ৯ কোটি ১১ লাখ এবং হার্ডওয়ারের পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।


বিবার্তা/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com