রাজধানীর নয়া পল্টনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ২০ সংবাদকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি হামলায় তারা গুরুতর আহত হন।

২৮ অক্টোবর, শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ উপলক্ষ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে রাজধানীর কাকরাইল, নাইটেঙ্গেল মোড়, বিজয়নগর ও নয়াপল্টন বিএনপি অফিস এলাকায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এদের অনেকে পুলিশের হাতে এবং বাকিরা দুর্বৃত্তদের হাতে আহত হন।

আহত সংবাদকর্মীদের অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। কয়েকজন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

সংবাদ সংগ্রহকালে আহত হন দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার তানভীর আহম্মেদ এবং শেখ নাসির, ইত্তেফাকের সাংবাদিক শেখ নাছের ও ফ্রিল্যান্সার মারুফ, নিউ এইজের আহমেদ ফয়েজ, বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল, ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন ও নিজস্ব প্রতিবেদক জোবায়ের আহমেদ, বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জাফর আহমেদ, দৈনিক কালবেলার রাফসান জানি, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আবু সালেহ মুসা, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার রবিউল ইসলাম রুবেল ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার তৌহিদুল ইসলাম তারেক, ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সালেকিন তারিন, ব্রেকিং নিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার, দৈনিক ইনকিলাবের ফটো সাংবাদিক এফ এ মাসুম, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট শেখ নাসির ও তানভীর আহাম্মেদ, একুশে টিভির রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন আরিফুর রহমান, দৈনিক দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক আরিফুর রহমান রাব্বি এবং সময় টিভির আহমেদ সালেহীন।

কাকরাইলে হামলায় আহত হন পলিটিক্যাল নিউজবিডি নামক একটি অনলাইন পোর্টালের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট মারুফ হাসান। হামলার পর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও, রাজু আহমেদ নামে আরও এক সাংবাদিকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

একইসঙ্গে সময় টেলিভিশনের গাড়িতে ভাঙচুর ও দৈনিক মানবকণ্ঠের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়েছে।

এদিকে, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিকরা।

বিবার্তা/লিমন