সরকারি দর কেউ মানছে না, অভিযানেও নেই সুফল
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৮
সরকারি দর কেউ মানছে না, অভিযানেও নেই সুফল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের পরও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে সংকট কমছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সম্প্রতি ডিম, আলু, পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রেতারা নির্ধারিত দামে বিক্রি করছেন না। এমনকি পাইকারি দামও নির্ধারিত খুচরা দামের চেয়ে বেশি দেখা গেছে। এতে রাজধানীসহ সারা দেশে নির্ধারিত মূল্য কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।


সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম ঠিক করে দেয়। এর কোনোটিই বাজারে কার্যকর হয়নি। প্রায় প্রতি মাসেই বেঁধে দেওয়া হয় ভোজ্যতেল ও চিনির দাম। যদিও বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বাজারে দাম সবসময় থাকে বেশি।



২৩ সেপ্টেম্বর, শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, মালিবাগ, রামপুরা, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর টাউন হলসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা এখনো পাইকারি বাজার থেকে কম দামে আলু, পেঁয়াজ ও ডিম কিনতে পারছেন না। আর যদিও কিনছেন তা সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত খুচরা দামের চেয়ে বেশি, তাই বিক্রিও করছেন বেশি দামে। খুচরা বিক্রেতারা দোকানে আলু ও দেশি পেঁয়াজ ওঠাচ্ছেন তুলনামূলক কম। সয়াবিন তেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন নতুন তেল এখনো বাজারে আসেনি তাই আগের দামে বিক্রি করছেন।



এসব বাজারে মানভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। তবে নির্ধারিত দরের চেয়ে ১০ থেকে ১৪ টাকা বেশি। আর দেশি পেঁয়াজের দাম রাখা হয় প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, যা নির্ধারিত দরের চেয়ে ২১ থেকে ২৫ টাকা বেশি। আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ও পেঁয়াজের ৬৪ থেকে ৬৫ টাকায় বেঁধে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি লিটার তেল সরকার নির্ধারিত দাম ১৬৯ টাকা কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ১৭৪ টাকায়। আর খোলা চিনি ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। প্রতি হালি ডিমের দর নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ টাকা, যা বাজারদরের চেয়ে সামান্য কম। সেই দরও কার্যকর হয়নি। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তালিকা বলছে, প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের উদ্যোগ ঠিক আছে। কিন্তু বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। যারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তাদেরকে দৃশ্যমান শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সরবরাহ চেইনে কোন সমস্যা থাকলে সরকারকে সেটা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে


ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোল্ডস্টোরেজ থেকে তাদেরকে বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে। আর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দেশি পেঁয়াজও বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে। জরিমানার ভয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না বলে ব্যবসায়ীরা বেশি পরিমাণে পণ্য আনছেন না। মালামাল কেনার পর পরিবহন খরচ যোগ করলে সরকার নির্ধারিত দামে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করে লাভ করা সম্ভব না। তাই তারা বিভিন্ন গ্রাম বা মফস্বলের মোকাম থেকে কম দামে নিম্নমানের আলু-পেঁয়াজ কিনে এনে কম দামে বিক্রি করছেন।



ক্রেতারা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এর আগেও কয়েক দফায় ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বেঁধে দিয়ে তা কার্যকর করতে পারেনি। তাই নতুন করে পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের ক্ষেত্রে যে এটা কার্যকর হবে, সে ব্যাপারে খুব একটা আশবাদী হতে পারছেন না তারা।



রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাজার করতে এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বিবার্তাকে বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম সরকার বেঁধে দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। আলুর দাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা বেঁধে দিলেও আমি কিলাম ৪৫ টাকায়, কেজিতে ১০ টাকা বেশি। দোকানিরা বলছে, পাইকারি বাজারেই নাকি দাম বেশি রাখছেন। তাই খুচরা দাম বেশি নিতে হচ্ছে। এখন আমার কথা হল তাহলে দাম নির্ধারণ করে কি হল?


কারওয়ান বাজারের পাইকারি আলু বিক্রেতা মো. আসরাফ আলী বিবার্তাকে বলেন, হিমাগার থেকে আমাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। আবার পরিবহন খরচ, শ্রমিক খরচ, দোকান ভারা সব মিলে দাম অনেক বেশি পরে যায়। অনেক সময় আবার অনেক আলু পঁচে যায় বা নষ্ট হয়েও যায়। তাই কম দামে আমাদের বিক্রি করা সম্ভব না। সরকারের উচিত আমাদের কথা ভাবা। যাতে আমার কম মূল্যে পণ্য কিনে নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারি।


সেখানে বাজার করছিলেন রিকশা চালক আব্দুর রহিম। তিনি বিবার্তাকে বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে যা কামাই করি বাজার-সদায় করতেই সব টাকা খরচা হয়ে যায়। ভাবছিলাম সরকার ঘোষনা দিয়ে যে দাম করি দিছে সেই দাম মত কিনতে পারমু। কিন্তু বাজারে তার থেকে অনেক বেশি দাম। একটা মালের দামও ঠিক নাই। সবকিছুর দাম বেশি। এ নিয়ে সরকার তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা না নিলে সামনে আরও খারাপ অবস্থা হব। আমাগর মত দিন কামাই করি দিনে খাওয়া মানুষের বাচাঁর উপায় থাকব না।


মোহাম্মদপুর টাইনহল বাজারের ব্যবসায়ী মো. মকবুল হোসেন বিবার্তাকে বলেন, শুধু আলু, পেঁয়াজ ,ডিম না বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ছে। সরকার পণ্যের দাম নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করে না। পাইকারি বাজারে যদি দাম না কমায় তাহলে আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরা কি করব।


তিনি বলেন, আবার যেসব ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের দাম বাড়ায় তাদের জরিমানা না করে ভোক্তা অধিকার আমাদের মত খুচরা ব্যবসায়ীকে জরিমানা করে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়, যা কেউ দেখে না।


সেখানে বাজার করতে আসা স্কুল শিক্ষিকা তাসনিম আফরোজ বিবার্তাকে বলেন, সরকার যে পণ্যগুলোর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার একটিও সঠিক দামে পাওয়া যাচ্ছে না বা মানছেন না। বাজারে অভিযান চলছে। কিন্তু তাতেও নতুন দর কার্যকর হচ্ছে না। আর আমরা ভোক্তারা অসহায়ের মতো বাড়তি টাকা ব্যয় করতে করতে শেষ হয়ে যাচ্ছি।


তিনি বলেন, তাই এখনি সরকারের উচিত অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন এবং পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা যেন কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না করতে পারেন সেদিকে নজর দেওয়া। তা না হয় এর জন্য কঠিন পরিস্থিতিতে পরতে হবে।


কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, কোনো ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান যদি বাজার অস্থিতিশীল করার সঙ্গে জড়িত বলে নিশ্চিত হয় তবে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই দেশের ভোক্তারা সুফল পাবে। এটি করা না গেলে সরকারের এসব উদ্যোগ হবে কথার কথা বা লোক-দেখানো। এর আগেও সরকার পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করেছিল।
এ নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোহাম্মদ রাজীব সিদ্দিকী বিবার্তাকে বলেন, সরকার বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়। এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রাণালয়ের সাথে আমাদের মিটিং করা হয়েছে। তবে দাম নির্ধারণ বা ঘোষণা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রাণালয়।


দাম নির্ধারণ করার পরেও বাজারে নির্ধারিত মূল্যের বেশি দাম নিচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্ধারিত মূল্যের থেকে ব্যবসায়ীরা বেশি দাম নিলে তার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার কাজ করছে। তাদের পক্ষ থেকে দেশের সব জায়গায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার কাজ চলছে।


বাজার মনিটরিং নিয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ রাজীব সিদ্দিকী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় বাজার মনিটরিং করতে পারে কিন্তু আইনগত যে দিক তা আমরা করতে পারি না। আমরা এমনিতে কৃষক পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি তবে আইনগত দিকটা বাণিজ্য মন্ত্রাণালয় ও ভোক্তা অধিকার ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।


এ নিয়ে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ বিবার্তাকে বলেন, যেহেতু এখন বাজারে অস্থিরতা তাই আমাদেরকে এ নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। কারণ মূল্য নির্ধারণ করা আমাদের কাজ ছিল না। কিন্তু আমরা এ নিয়ে সবাই মাথা ঘামাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করেছি প্রান্তিক পর্যায়ে ছোট খামারি, বড় খামারিদের ডেকে তাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা তাদের কাছে জেনেছি একটি ডিম উৎপাদনে কত খরচ হয় এবং বাজারে এর মূল্য কত হলে আপনারা রাজি থাকবেন। এসব নিয়ে খামারিরা আমাদের বলেছেন এবং তা অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


তিনি বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করছি না, এটা তো আমাদের কাজ না। এই কাজ জাতীয় ভোক্তা অধিকারের। তারা তাদের কার্যক্রম সারাদেশে পরিচালনা করছে। তারপরও এক শ্রেনির ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের জন্য দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামের বেশি দাম যারা রাখছেন বা এই ঘোষণা যারা মানছেন না তাদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার।


তিনি বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে শুধু সরকার নয় তার পাশাপাশি সাংবাদিকসহ সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।


বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বিবার্তাকে বলেন, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় সবার সাথে আলোচনা করে দাম নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছেন। আর বাজার পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার, ডিসি অফিস সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ নির্দেশনা মানছেন না, তাই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।


তিনি বলেন, ডিমের দাম কমছে না, এজন্য ডিম আমদানি করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে ৪ কোটি ডিম আমদানি অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ আবার ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে চলছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।


বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং ঘাটতি নিয়ে তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু জাতীয় ভোক্তা অধিকারের জনবল অনেক কম। এজন্য ডিসি, বিভাগীয় কমিশনারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিয়ে মনিটরিং টিম বাড়ানোর জন্য বৈঠক করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তার সাথে ডিসিদের বলা হয়েছে যারা ব্যবসায়ী তাদের ডেকে সরকারের সিদ্ধান্ত বলে দেওয়ার জন্য।


জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা অভিযোগ করছেন, যারা পাইকারি ব্যবসায়ী তারা বেশি দাম রাখছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে যারা পাইকারি ব্যবসায়ী দাম বেশি রাখছেন তাদের শণাক্ত করা। যাতে তারা বেশি লোভে বেশি দামে বিক্রি না করে।


মো. হায়দার আলী আরো বলেন, দেশের পাইকারি, খুচরা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবার সাথে আলোচনা করেই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন দেখা যাক কী হয়।


জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বিবার্তাকে বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার এ নিয়ে কাজ করছে যা সবসময় দৃশ্যমান। দেশের সকল জেলায় আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। যা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিদিন দেখানো হচ্ছে।


তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতি ঠিক রাখতে সকল জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) কাজ করে যাচ্ছে। তিনদিন থেকে আমি নর্থ বেঙ্গলে প্রতিটি জেলায় যাচ্ছি নিরলস কাজ করছি।


এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান আরো বলেন, বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শুধু কি ভোক্তা অধিকারের কাজ এটি, যারা এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছেন তাদের কি আর কোন দায়িত্ব নেই?


বিবার্তা/রিয়াদ/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com