মহান শিক্ষা দিবস আজ
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৭
মহান শিক্ষা দিবস আজ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আজ সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মহান শিক্ষা দিবস। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী শিক্ষা সঙ্কোচনমূলক শিক্ষানীতির প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ১৯৬২ সালের ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিন ১৭ সেপ্টেম্বর।


পাকিস্তানি শাসকদের শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ অনেকেই। নাম না জানা সেই আত্মত্যাগীদের স্মরণ করতেই এই দিনটিকে পালন করা হয় শিক্ষা দিবস হিসেবে।


জানা গেছে, তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খান তার ক্ষমতা দখলের দুই মাসের মাথায় ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর এস এম শরীফের নেতৃত্বে গঠন করেন শরীফ কমিশন খ্যাত শিক্ষা কমিশন। পরের বছরে ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট কমিশনের পেশ করা প্রতিবেদনের প্রস্তাবনাগুলো ছিল শিক্ষা সংকোচনের পক্ষে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্র বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবনাই শুধু ছিল না, ২৭ অধ্যায়ে বিভক্ত শরীফ কমিশনে উচ্চশিক্ষা ধনিশ্রেণির জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেয়া ‘শরীফ কমিশন’-এর শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন।


ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন ‘অল পার্টি স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটি’ দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচির ডাক দেয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা লেলিয়ে দেয় পুলিশ বাহিনী। তারই একপর্যায়ে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মোড়ে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহ প্রমুখ শহীদ হন। সেই থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর এ দিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।


দিবসটি উপলক্ষে ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন নানা কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে শিক্ষা অধিকার চত্বরে শিক্ষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, মিছিল, আলোচনা সভা ও সমাবেশ। এ ছাড়া জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট ও ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট-এর আয়োজনে বেলা ১১টায় ফার্মগেটে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষক এবং অভিভাবক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।


এ প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‌কলেজগুলোতে ফাইনাল পরীক্ষা চলমান হওয়ায় এবার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানববন্ধন ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হবে না। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকল স্তরের শিক্ষক ও অভিভাবকদের আলোচনা সভা করা হবে। সেখানে এ দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরা হবে।


তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে এ দিবসটি পালন করা হয় না। আমাদের বিভিন্ন সমাবেশে মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যরা এসে সমর্থন দিলেও জাতীয় শিক্ষা দিবসকে তুলে ধরতে সরকারিভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় না। সরকারি ও বেসরকারিভাবে শিক্ষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান এই শিক্ষক নেতা।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com