ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা। বিভিন্ন অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে নেয়া ঋণের প্রথম কিস্তি ৫ কোটি (৫০ মিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করেছে দেশটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি (২০০ মিলিয়ন) ডলার ঋণ দিয়েছিল বাংলাদেশ।

২১ আগস্ট, সোমবার শ্রীলঙ্কা থেকে ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা জানান, দেশটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়েছিল। গত ১৭ আগস্ট শ্রীলঙ্কা ২০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৫ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে। ৩০ আগস্টের মধ্যে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পরিশোধ করতে চেয়েছে। এখন তারা এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি ১৫ কোটি ডলার পরিশোধের আশা প্রকাশ করেছে।

তিন মাসের মধ্যে ফেরত দেয়ার শর্তে কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতির আওতায় ২০২১ সালে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময়ে চার কিস্তিতে ২০ কোটি ডলার ঋণ নেয় শ্রীলঙ্কা। এক বছরমেয়াদী ঋণের মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। কিন্তু যথাসময়ে ওই ঋণ ফেরত দিতে পারেনি; কয়েক দফা সময় চায় তারা। উপায় না থাকায় বাংলাদেশও কয়েক দফা সময় দেয়। সবশেষ আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের বিপরীতে লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেট বা লাইবর যোগ দেড় শতাংশ সুদ পাচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট ৫ কোটি ডলার ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয় দফায় ১০ কোটি ডলার দেয়া হয় ওই বছরের ৩০ অক্টোবর। এরপর ৫ কোটি ডলার দেয়া হয় নভেম্বরে। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় গত বছরের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ অর্থ ফেরত দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় দেশটি।

বিবার্তা/লিমন