খুনিদের দূতাবাসের চাকরি দিয়েছিল জিয়া: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৩, ১৪:০১
খুনিদের দূতাবাসের চাকরি দিয়েছিল জিয়া: প্রধানমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশের যে কোন মানুষ তার আপনজন খুন হলে বিচার চায়, আর আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, আমাদের বিচার চাওয়ার কোনো অধিকারই ছিল না। মামলা করার অধিকার ছিল না বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।


১৯৮১ সালের দেশে আসার পর জিয়াউর রহমান আমাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। আমি যে আমার মা-বাবা, ভাই বোনের জন্য দোয়া করব, মোনাজাত করবো সে সুযোগটাও দেয়নি। রাস্তার ওপর বসেই আমাকে আমার মা-বাবার জন্য দোয়া পড়তে হয়েছিল।


তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের সময় আমি এবং আমার ছোটবোন বিদেশে ছিলাম। জিয়াউর রহমান আমাদের আসতে বাধা দিয়েছে। শেখ রেহানার পাসপোর্টটাও রিনিউ করে দেয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮১ সালে আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে। আমরা অনেক বাধা অতিক্রম করে দেশে ফিরে আসি।


মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে কৃষকলীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, আমাদের আত্মপরিচয়ের সুযোগ এনে দিয়েছেন। বাঙালি জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন। বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন। সে পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারপরেই সেই ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সাল আমাদের জাতির জীবনে একটি কালো অধ্যায়। ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছিল আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।


তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার অসম্প্রদায়িক যে চেতনা, সেই চেতনাকে নস্যাৎ করে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী যারা, যাদের বিচার হচ্ছিল, তাদের কারাগার থেকে মুক্ত করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। খুনিদের ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দেওয়া হয়েছিল।


জিয়াউর রহমান তাদের পুরস্কৃত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা আসে, ওই ফারুককে ফ্রিডম পার্টির করার সুযোগ দেয়, রাজনীতি করার সুযোগ দেয়। রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কর্নেল রশিদ, হুদা নিয়ে জনগণের ভোট চুরি করে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে। যে নির্বাচনে ২/৩ শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণের ভোট চুরি করে ওই রশিদকে পার্লামেন্টের বিরোধী দলের আসনে বসায়। হুদাকে পার্লামেন্টের মেম্বার করে। তারা খুনিদের উৎসাহিত করে একের পর এক অমানবিক কাজ করে গেছে।


কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com