বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধ: বাদ যাবে জিপিএ ৫ ধারীরাও!
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২৮
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধ: বাদ যাবে জিপিএ ৫ ধারীরাও!
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। এবার এই পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীর অধিকাংশের-ই আবার প্রথম লক্ষ্য থাকবে স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া।



কিন্তু পাবলিকে যে আসন আছে তার প্রায় দ্বিগুণ জিপিএ ৫ পেয়েছেন। ফলে অনেক শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েও তার কাঙ্ক্ষিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবেন না। আর যারা ভর্তি হবেন তাদেরও কঠিন ভর্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে নিজেকে সুযোগ করে নিতে হবে। দিন কয়েক পরে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভর্তিযুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে। আর এই লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।



তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়,এ বছর এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন শিক্ষার্থী। ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী।কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৯১ জন শিক্ষার্থী। সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭১ জন। বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৮৬ জন শিক্ষার্থী।চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৭০ জন শিক্ষার্থী। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭০৬ জন শিক্ষার্থী।দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ০৬ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৩০ জন শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ০৩ শতাংশ, জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ১৭৯ জন।এ ছাড়া কারিগরি বোর্ডে পাস করেছেন ৯১ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী, এ বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৪২৩ জন শিক্ষার্থী।


ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি বেসরকারিসহ বিভিন্ন জায়গায় আসন রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ। তবে এক্ষেত্রে মেধাবীসহ অধিকাংশ শিক্ষার্থীর নজর থাকে স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অর্থাৎ বুয়েট, মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এগুলোর যে চাহিদা তার তুলনায় আসন রয়েছে অনেক কম। ৯০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী এসব পছন্দের জায়গায় ভর্তির সুযোগ পাবেন। এদিকে এসবের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানে ভর্তির শর্ত অনুযায়ী সাধারণত জিপিএ ৩ দশমিক ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পায়। আর এক্ষেত্রে ২০২২ সালে এই ধরনের শর্তপূরণ করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা সোয়া আট লাখের বেশি। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী এক লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। আর জিপিএ-৫ এর নিচে কিন্তু ৩.৫ এর মধ্যে শিক্ষার্থী আছেন ছয় লাখ ৬০ হাজার ২১০ জন। উল্লিখিত ৯০ হাজার আসনের জন্য মূলত এসব শিক্ষার্থীর মধ্যেই লড়াইটা হবে। এক্ষেত্রে শুধু জিপিএ ৫ ধারীরা সুযোগ পাবেন বিষয়টি এমন নয়। ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করে অনেকে জিপিএ ৫ না পেয়েও ভর্তির সুযোগ পান। ফলে উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাও ভর্তিবঞ্চিত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন। এক্ষেত্রে মধ্যম মানের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় যত ভালো করবে, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের বাদ পড়ার সংখ্যা ততই বাড়বে।



পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় অনেক জিপিএ ৫ ধারী শিক্ষার্থীর ঝড়ে পাওয়ার অসংখ্যা নজির রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত গত ছয় বছরে কোনোবারই ২০ শতাংশ কিংবা তার বেশি শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। অর্থাৎ প্রতিবছরই ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ফেল করে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায়। সর্বশেষ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ক, খ, গ, ঘ এবং চ মোট ৫ ইউনিটে অংশগ্রহণ করে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৬০৫ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে সম্মিলিতভাবে পাস করে ২৭ হাজার ৪৮৮ জন পরীক্ষার্থী। যা শতকরায় ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অপরদিকে এই শিক্ষাবর্ষে অর্থাৎ ২০২১ এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। অর্থাৎ জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর ৬ ভাগের এক ভাগ শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি।



নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী আশফাক হোসেন ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছেন। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বিবার্তাকে বলেন, যদিও আমি জিপিএ ৫ পেয়েছি তারপরেও মনে ভয় কাজ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারি কি-না? কারণ অনেকে জিপিএ ৫ পেয়েও কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকে না। আর এই সংখাও নেহায়াত-ই কম নয়। তবে আমি আমার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাকীটা আল্লাহ ভরসা।


চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন আবদুর রহমান। তিনি মুঠোফোনে বিবার্তাকে বলেন, আমি এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাইনি। ফলে এই ধাক্কাটা আমি ভর্তি পরীক্ষায় ভালো মার্ক পাওয়ার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে উঠতে চায়। আমার মতো অনেকে জিপিএ ৫ না পেয়েও ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। আমি তাদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তাদের একজন হতে চায়।


এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, কোনো দেশেই উচ্চশিক্ষায় ভর্তির আসন সীমাহীন হয় না। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষা সবার জন্য নয়। সমাজে সব ধরনের পেশার প্রয়োজন আছে। সেদিকটি মাথায় রেখে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে।


তিনি বলেন, ভর্তির ক্ষেত্রে যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে, সেটি তৈরি হয়েছে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে পার্থক্যের কারণে। মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের খুবই সংকট আছে। এমনকি বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও একই মান নিশ্চিত করতে পারে না। যদি বাধ্যতামূলকভাবে বিভিন্ন প্রোগ্রামের স্বীকৃতির (অ্যাক্রেডিটেশন) ব্যবস্থা করা হয় তবে মানসম্মত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়বে।


জিপিএ ৫ কেন্দ্রিক পড়াশোনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিবার্তাকে বলেন, আজকে আমরা সব ছাত্রছাত্রীকে নম্বরের দিকে ধাবিত করছি, জিপিএ ৫ পাওয়ার দিকে ধাবিত করছি। এ কাজটা শিক্ষকরা করছে, অভিভাবকরা করছে, সমাজ থেকেও করছে। এমনকি সমাজে একজন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি জিপিএ কত পেলে? এই জিপিএ দিয়ে তাকে মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীকে সঠিকভাবে শিখানো হয়েছে কিনা, সে শিখতে পেরেছে কিনা এই বিষয়গুলোর আলোচনা হচ্ছে না।


তিনি বলেন, জিপিএ ৫ এর যে প্রতিযোগিতা সেই প্রতিযোগিতা থেকে ছেলেমেয়েদের ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদেরকে বিদ্যা অর্জনের দিকে ধাবিত করতে হবে। তারা কতটুকু শিখলো, সেই বিষয়টির গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন, বেশ কিছু সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।


এই শিক্ষাবিদ বলেন,ছাত্র-ছাত্রীদের বইয়ের দিকে নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার্থী নয় বরং জ্ঞান অন্বেষণকারী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পরীক্ষাটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, একটা পরীক্ষা দিয়ে হয়তো আমরা মূল্যায়ন করি। তবে পরীক্ষার মধ্যে শুধু শ্রেণিকক্ষের কারিকুলাম থাকবে এটা নয়, এখানেই শিক্ষার্থীর সাংস্কৃতিক চর্চা, খেলাধুলা, আচার-আচরণ, সৌজন্যবোধসহ সার্বিক বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এই সবগুলো বিষয়ের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করলে ভালো ফলাফল আসবে বলে আশা করা যায়।



কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন আর ভর্তি পরীক্ষা কবে?



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


এ বছর ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা মোট চারটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটগুলো হচ্ছে- ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’,‘বিজ্ঞান ইউনিট’, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’। এই চার ইউনিট মিলে মোট আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৯৬৫টি।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৯ এপ্রিল চারুকলা ইউনিটের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এরপর ৬ মে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ১২ মে বিজ্ঞান ইউনিট এবং ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


নতুন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে রাবির ৫৯টি বিভাগ ও ২টি ইন্সটিটিউটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে ৩৯৩০ জন শিক্ষার্থী। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৯ মে ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিট, ৩০ মে ‘এ’ (মানবিক) ইউনিট এবং ৩১ মে ‘বি’ (বাণিজ্য) অনুষ্ঠিত হবে।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট আছে। এসব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে আসন আছে ৪ হাজার ৯২৬টি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইউনিটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ভর্তি কমিটি ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৬ মে থেকে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিট দিয়ে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে এ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি কার্যক্রম। আগামী ১৬ ও ১৭ মে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিট, ১৮ ও ১৯ মে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিট, ২০ মে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিট এবং সকলের জন্য উন্মুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি অনুষ্ঠিত হবে ২২ মে। প্রতিটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। এ ছাড়া ‘ডি-১’ ও ‘বি-১’ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৪ মে ও ২৫ মে ।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪ টি বিভাগ ও ৩ টি ইনস্টিটিউট রয়েছে এবং এর মোট আসন সংখ্যা ১৯৫০ টি। বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৬ জুন থেকে ২৪ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।


গুচ্ছে থাকা ২২ বিশ্ববিদ্যালয়


আগামী ২০ মে গুচ্ছের মানবিক বিভাগের, ২৭ মে বিজ্ঞান বিভাগের এবং ৩ জুন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।


গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো-


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।


বিবার্তা/রাসেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com