মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশ, আমলে নেননি শিল্পীরা
প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ২১:২৬
মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশ, আমলে নেননি শিল্পীরা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রধান উৎসব পহেলা বৈশাখ। এটা বাঙালির প্রাণের উৎসব। আর এই উৎসবের প্রাণভোমরা মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর মানবতার অধরা বা অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে। উৎসবে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, নৃগোষ্ঠীসহ সকল বাঙালি এক মোহনায় মিলিত হয়। ফলে এই উৎসবের মূল চেতনা হয়ে দাঁড়িয়েছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।


বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ বর্ষবরণ উৎসবের সাজ সাজ রব চলছে। ঠিক সেই মুহূর্তে উৎসবকে বাধাগ্রস্ত করতে আইনি নোটিশ পাঠানে হয়েছে। তবে আয়োজকসহ সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিকরা বলছেন, মৌলবাদীদের আস্ফালনে মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধ নয় বরং বাঙালির প্রাণের এই উৎসব তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।


রবিবার, ৯ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অন্যতম আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে রেজিস্ট্রি ডাকে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। নোটিশের অনুলিপি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন বরাবর পাঠানো হয়েছে।


নোটিশে বলা হয়েছে, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হাজার বছর ধরে, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী বাঙালি জনগণ একে অপরের ধর্মকে সম্মান করে এই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে একটি কৃত্রিম কার্যকলাপ বাঙালি সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত এই কৃত্রিম উদ্ভাবিত মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে পহেলা বৈশাখের কোনও সম্পর্ক নেই।



নোটিশে আরো বলা হয়, ‘মঙ্গল’ শব্দটি একটি ধর্মীয় সংশ্লিষ্ট শব্দ। সব ধর্মের লোকজন তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে ‘মঙ্গল’ প্রার্থনা করে থাকেন। এখন এই মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের দৈত্য আকৃতির পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২-ক এর সরাসরি লঙ্ঘন। এটা দণ্ডবিধির (Penal Code) ২৯৫-ক ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধও।


তাই নোটিশ পাওয়ার পর ‘অসাংবিধানিক, বেআইনি ও কৃত্রিম উদ্ভাবিত’ মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।


মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে অনেকে। তবে নোটিশের বিষয়টি আমলে নেয়নি মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। এই ঘটনায় দেশের বিভিন্ন মাধ্যমের বিশিষ্টজনেরা বলছেন, মৌলবাদীদের আস্ফালনে মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধ নয় বরং বাঙালির প্রাণের এই উৎসব তার নিজস্ব গতিতে চলবে।


মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে কবি ও সংগঠক আহমেদ শিপলু বিবার্তাকে বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিশের ঘটনায় আমরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরইমধ্যে লেখালেখি করে প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা অবশ্যই এই নোটিশের বিরুদ্ধে। এই ধরণের নোটিশ বাঙালি সংস্কৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ। কাজেই আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।


তিনি বলেন, কোন একজনের নোটিশে মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধ হয়ে যাবে না বরং বাঙালি সংস্কৃতির এই উৎসব সুন্দরভাবে পালন করব।


ভাস্কর ও কবি রিঙকু অনিমিখ বিবার্তাকে বলেন, বাঙালির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আমরা যেগুলো লালন করি তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ঐতিহ্য হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। অর্থাৎ জীবনে যদি ৩টা বড় উৎসবের কথা বলি, সেগুলো হলো দুই ঈদ আর পহেলা বৈশাখ। বৈশাখের এই উৎসবে তো ধর্মীয় কোন ঝামেলা হচ্ছে না। একটা দেশ তার নিজস্ব সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে যে যেই ধর্মের লোক, সে সেটা পালন করবে। কাজেই ধর্ম বিশ্বাসের ক্ষেত্রে নিজস্ব সংস্কৃতি বাধা হতে পারে না। পৃথিবীর সব দেশই কিন্তু নিজস্ব সংস্কৃতি পালন করছে। এক্ষেত্রে তারা যা ধর্ম, সেটাও পালন করছে। আমি যদি একটু পরিষ্কারভাবে বলি- ধর্মে তো দেশপ্রেমের কথা বলা আছে। আর দেশপ্রেমের সাথে তো দেশের ঐতিহ্যের ব্যাপারগুলোও চলে আসে।


তিনি বলেন, আমি একেবারে পরিচ্ছন্নভাবে বলতে চাই, যিনি এই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন- তিনি একেবারে সাম্প্রদায়িক মানসিকতা থেকে এটি করেছেন। আর মৌলবাদের ব্যাপারটা ওনার মধ্যে আছে। তবে আমাদের এই সংস্কৃতি অবশ্যই পালন হবে। আর এর বিপক্ষে দাঁড়ানো কিংবা বিরোধীতা করা জাতীয়, রাষ্ট্রীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে অন্যায়।



সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বিবার্তাকে বলেন, আমরা এই উকিল নোটিশের তীব্র নিন্দা জানাই। এটা একজন ব্যক্তির অভিমত। আর একজন ব্যক্তির আস্ফালন অতো গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নাই। কারণ, আমাদের সমাজের বহুলোক আছেন যারা বাঙালি সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে না। এই সমস্ত লোকদের আমরা ঘৃণা করি। তবে যেটা গুরুত্বপূর্ণ- সেটা হলো আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি, বাংলা নববর্ষ, মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ এসবের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত ধর্মীয় অপব্যাখা দিয়ে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে তারা বোমা হামলাও করেছিল। যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে ধর্মের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায় তাদের মুখোশ উন্মোচন করা উচিত। আর সরকারিভাবে নিরাপত্তার নামে আমাদের সংস্কৃতির নানা আয়োজনকে সংকুচিত না করে এটাকে কিভাবে আরও ব্যাপকভাবে করা যায় তার জন্য সহায়তা করা উচিত।


মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধীকারীরা সরকারিভাবে দেওয়া বৈশাখী ভাতার বিরোধিতা না করে শুধু শোভাযাত্রার বিরোধীতা করছে, এই প্রেক্ষিতে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম কথা হলো- তারা তো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা তো বাঙালি সংস্কৃতির বিরোধী। সুতরাং তারা তো মূল জায়গায় আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু তাই নয়, তারা তো অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রই চায় না। বাঙালি সংস্কৃতির সম্প্রীতির যে বার্তা তারা সেটাই চায় না। তাদেরকে রাজনৈতিক, আদর্শিক ও মতাদর্শগতভাবে পরাভূত করতে হবে। উন্নত, আধুনিক চিন্তার প্রসার ঘটাতে হবে সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে। এক্ষেত্রে সংস্কৃতিকর্মীদের জাগ্রত থাকতে হবে, একইসাথে সমাজের মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। আর সরকারকেও তার অবস্থান স্পষ্ট ও শক্ত করতে হবে।


সাংস্কৃতিক এই ব্যক্তিত্ব বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের বিকাল ৫টার মধ্যে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হয়। কেন বন্ধ করে দিতে হয়? কাদের ভয়ে বন্ধ করে দিতে হবে? কেন গ্রামে-গঞ্জে রাতভর আমি বৈশাখী মেলা করতে পারব না? এবার না হয় রোজা। কিন্তু স্বাভাবিক সময়েও কেন এটাকে সংকুচিত করা হয়। এর জবাব কে দেবে?


আইনি নোটিশের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বিবার্তাকে বলেন, আইনি নোটিশ পাঠানোর জন্য একজন আইনজীবী লাগে। আমি যদি কোন কিছু করতে চাই তাহলে আমাকে আইনজীবীর কাছে যেতে হবে, পয়সা দিতে হবে। কিন্তু ঐ লোক তো নিজেই আইনজীবী। কাজেই এই নোটিশ পাঠাতে তো তার পয়সা লাগে নাই ৷ কিন্তু তার নোটিশ ধোপে টিকবে না। এটা একটা ধর্ম নিরপেক্ষ উৎসব। এই উৎসবে আমরা কত কিছু করি। এর কোনটা ধর্ম অনুমোদন করে?


তিনি বলেন, উনি (নোটিশ দাতা) যে ধর্মে বিলং করে সেই ধর্ম পরকালের কাজ ছাড়া আর কোন কিছু বিলং করে না অর্থাৎ ইহলোকের কোন উৎসব অনুমোদন করে না। এক্ষেত্রে ইহলোকের যত উৎসব আছে উনি বলতে পারেন সবকিছুতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়। আর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার যে মাত্রাটা, সেটার কোন মাপকাঠি নেই। কাজেই আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই আইনি নোটিশ আদালত আমলে নিলে এটা নিয়ে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। আমাদের দেশের যে আইন, সেখানে বলা হয়েছে ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করা সংবিধানের দায়িত্ব এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এই রকম কিছু করা যাবে না। এটা শুধু মুসলমানদের জন্য না, আইনটা সব ধর্মের জন্য।


তিনি আরো বলেন, আপনি যে রাস্তার মধ্যে গরুর মাংস ঝুলিয়ে রাখেন, তাতে কি হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে না? তাহলে আইন কী করবে? কুরবানি যখন হয় তখন একই এপার্টমেন্টে বিভিন্ন ধর্মের লোক থাকে, সেক্ষেত্রে নিচের তলায় যখন কুরবানি দেওয়া হয়, তখন তা হিন্দু ধর্মের লোকদের আঘাত লাগে না? তাহলে তো তারা সেটা নিয়ে রিট করবে। তখন আদালত কী করবে? আমাদের ধর্মে বলা আছে মূর্তি পূজা করা হারাম। এটা নিয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা আদালতে রিট করবে এই বলে যে, তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগছে। আমার মনে হয় না, আদালত এতোটা বোকা যে, এই রকম একটা বিষয়কে আমলে নিবে।


অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, আমরা চারুকলায় কী করছি সেটা নিয়ে তো ধর্ম টেনে আনার দরকার নাই। তবে একটা জিনিস বাহবা দেওয়ার আছে, সেটা হলো- অনেকে পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাত, পোশাক নিয়ে নানা কথা বলে। সেই দিক থেকে এই লোক সরাসরি আদালতে গেছে। মৌলবাদীদের যে উন্নতি হয়েছে এটা আমাদের জন্য একটা পজিটিভ সাইট। তবে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাঙালি সংস্কৃতির নিদর্শন পহেলা বৈশাখের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা অবশ্যই হবে।


এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বিবার্তাকে বলেন, যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারা এ ধরণের কথা বলতে পারে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির দেশ। বঙ্গবন্ধু এই দেশকে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির দেশ বানানোর জন্য আন্দোলন, সংগ্রাম করেছিলেন এবং দেশ স্বাধীন করেছেন। বর্তমান সরকারের সময়ে এ ধরণের কথা গ্রহণ করার কোনো সুযোগ নেই।


তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ হচ্ছে বাঙালির শত শত বছরের সার্বজনীন উৎসব। প্রত্যেক ধর্মেরই আলাদা উৎসব আছে। কিন্তু পহেলা বৈশাখ হলো সকল ধর্মের-বর্ণের মানুষের সার্বজনীন উৎসব। এটাকে বন্ধ করার জন্য যারা কথাবার্তা বলে, এরা ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত গোড়া টাইপের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ। স্বাধীনতাবিরোধী প্রেতাত্মারা মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধ করার মতো কথা বলতে পারে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিবার্তাকে বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ। এটা ইউনেস্কোর হ্যারিটেজের অন্তর্ভূক্ত। এটা শুধু বাঙালি সংস্কৃতি নয়, বরং মানবসভ্যতার অঙ্গ হয়ে উঠছে। পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুধু বাঙালি নয়, পৃথিবীর সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করা হয়। আর সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতীক হিসেবে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা সাধারণ মানুষের কাছে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে। তাই আমার মনে হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা যেভাবে বাঙালি সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেই বিষয়টি মাথায় নিয়ে আদালত তার সিদ্ধান্ত জানাবে, সেটি আমার প্রত্যাশা।


বিবার্তা/রাসেল/রোমেল/এনএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com