বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আলোচনা সভা
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩, ২০:৩৬
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আলোচনা সভা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও কেক কাটা কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ১৭ মার্চ, শুক্রবার বিকাল ৪টায় কাটাবনস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সুজন।


আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা আহসানুল হক মিনু, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, ভাস্কর উত্তম ঘোষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কানিজ ফাতেমাসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।


ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সুজন আলোচনা সভায় বক্তব্যে বলেন, "বাঙালির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, নিজ সন্তানদের মর্মস্পর্শী শৈশব মধুমতী ও বাইগার নদীর পানি ছুঁয়ে আসা মনোরম বাতাসের ঢেউ গায়ে মেখে, তাল-তমাল তরুর ছায়ায় কাটিয়েছেন দুরন্ত শৈশব। কিন্তু পরবর্তীতে দেশের কাজ করতে নেমে নিজের সন্তানদের শৈশবকে আর অতোটা আনন্দ-মথিত করে তুলতে পারেননি তিনি। কখনো পাকিস্তানি জান্তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে জেলে, আবার কখনো রাজনৈতিক ব্যস্ত কর্মসূচির কারণে নিজ পরিবার থেকে বঙ্গবন্ধুকে দূরেই থাকতে হয়েছে।"


সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল শ্রেণীর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। একারণে স্বাধীনতার পর সর্বপ্রথম যে উদ্যোগগুলো তিনি নিয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো- শিশুদের সুন্দর বিকাশ ও বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করা। শিশুদের প্রতি তাঁর যে অশেষ ভালোবাসা, সেটার প্রকাশ ঘটেছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কার্যকলাপে। এজন্য বঙ্গন্ধুর জন্মদিন, ১৭ মার্চকে জাতীয় শিশুদিবস হিসেবে পালন করা হয়।


তিনি বলেন,শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপগুলো উঠে এসেছে শীর্ষ লেখক ও বুদ্ধিজীবী আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’ গ্রন্থের ‘সমাজের হাতে ও রাষ্ট্রের হাতে প্রাথমিক শিক্ষা’ প্রবন্ধে। বঙ্গবন্ধুর জানতেন, স্বাধীন দেশে একটি নতুন প্রজন্মকে সঠিকভাবে মানবিক ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলে, তবেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে রুচিশীল একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে শিশুদের গড়ে তোলার জন্য বহুমুখী উদ্যোগ নেন তিনি।


১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই ড. মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদাকে সভাপতি করে তিনি যে শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন, তার মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালুর সুপারিশ করা হয়। ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। এমনকি শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭৪-এর ২২ জুন প্রণয়ন করেন শিশু আইন। শিশুদের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধুর সময়েই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে বই, অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ করা শুরু হয়। এছাড়াও গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পোশাকও দেওয়া হতো।


বিবার্তা/রাসেল/এমএ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com