শিরোনাম
নেটওয়ার্ক গড়তেই কি বাড়ি গিয়েছিলেন শাকিরা
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:১৭
নেটওয়ার্ক গড়তেই কি বাড়ি গিয়েছিলেন শাকিরা
ভোলা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন নারী জঙ্গি শাকিরা। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর গ্রামের শাহে আলম চৌকিদার (৫৬) ও ফাতেমা বেগমের (৫০) মেয়ে।

 

তিন মাস আগে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছিলেন শাকিরা, ছিলেন পাঁচদিন। ওই সময় দ্বিতীয় স্বামী আলোচিত জঙ্গি সুমনকে সঙ্গে আনেননি। নিরাপদ নেটওয়ার্কের জন্যই কি শাকিরা বাড়ি গিয়েছিল। এ বিষয়েও এখন আলোচনা হচ্ছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।

 

শশীভূষণ থানার ওসি আবুল বাশার জানান, তিনি শাকিরার বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার মা জানান, মেয়ের সঙ্গে তাদের যোগযোগ নেই। অপরদিকে মেয়ের লাশ সনাক্ত করতে বাবা শাহে আলমকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসআই আসাদুজ্জামান তাকে ঢাকায় নিয়ে যান।

 

ওসি জানান, শাকিরা এলাকায় থাকতে কোনো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

এদিকে ভোলার পুলিশ সুপার মো. মোখতার হোসেন জানান, তাদের কাছে তথ্য আছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি ও অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন সদস্যের বাড়ি ভোলা জেলার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে। ওই সূত্র ধরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে নজরদারি বাড়িয়েছে।

 

শাকিরা বাবা-মায়ের তৃতীয় সন্তান। তারা চার বোন, এক ভাই। ভাইটি মানসিক প্রতিবন্ধী। বড় বোনের নাম ফরিদা বেগম, দ্বিতীয় বোন নাসিমা বেগম। সবার ছোট বোন কামরুন নাহার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। 

 

শাকিরার মা (বামে), শশীভূষণে তার বাবার বাড়ি  (ডানে)

 

শুক্রবার সকালে শাকিরার বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, মা ফাতেমা বেগম উঠোনে ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত। তিনি শাকিরার বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ। ছোট বোন কামরুন নাহার ভয়ে ভয়ে কিছু কথা বলে। সে জানায়, শাকিরা দক্ষিণ সিবা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে। এরপর মাদ্রাসায়ও কিছুদিন পড়ালেখা করে।

 

ওই বাড়ির সম্পর্কে আশপাশের মানুষও ভয়ে মুখ খুলতে চান না। বাড়ির কাছের ৬০ বছরের শাহেদ আলী। তাকে শাহে আলমের বাড়ি কোনটি জিজ্ঞেস করতেই বলে ওই নামের কাউকে চেনেন না তিনি। 

 

এলাকার ইউপি মেম্বার স্বপন সিকদার জানান, মেয়েটি আগে ভালোই ছিল। সুমনের সঙ্গে বিয়ের পরই বিপথে চলে যায়।

 

তবে মা ফাতেমা বেগম জানান, বাড়িতে না এলেও মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনে কথা হতো। কে কেমন আছে এতটুকুই কথা হতো। চার বছর আগে, রসুলপর কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় শাকিরার পার্শ্ববর্তী লালমোহন উপজেলায় ইকবালের সঙ্গে বিয়ে হয়। ইকবাল ঢাকার মোহাম্মদপুরের বছিলায় ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেন। তাদের এক মেয়ে আছে, নাম সাবিনা। ইকবাল ক্যানসারে ভুগে সাড়ে তিন বছর আগে মারা যায়।

 

পরে শাকিরা মোহাম্মদপুরের একটি ক্লিনিকে কাজ নেয়। সেখানেই পরিচয় হয় রাশেদুর রহমান ওরফে সুমনের সঙ্গে। এর বেশি কিছু জানেন না পরিবারের সদস্যরা।

 

বিবার্তা/পুষ্পেন্দু/নিশি   

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com