
অফিস, বাড়ি সামলে সময় বার করে ঘরদোর, স্নানঘর নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা রীতিমতো চিন্তার বিষয় অনেকের কাছেই। হেঁশেল থেকে বৈঠকখানা বা ঘর সাজানোর জিনিসপত্র যে দিকে চোখ না যাবে, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দেখা যাবে সেই স্থানে ধুলোর পরত। তবে ঘরদোর ঝাড়পোঁছের কাজটি কঠিন এবং সমস্যাজনক হয়ে উঠতে পারে কয়কেটি সাধারণ ভুলেই। কী সেই ভুল?
পরিকল্পনার অভাব:
ঘরদোর পরিষ্কারের কাজটি ছুটির দিনের জন্য তোলা থাকে? আর সেই কাজ করতে গিয়ে এক সময় খেই হারিয়ে ফেলেন? সমাজমাধ্যম প্রভাবী কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত পরামর্শদাতা রোজ়া পিকোসা বলছেন, ঘর পরিষ্কারেরও পরিকল্পনা থাকা দরকার। না হলেই সব তালগোল পাকিয়ে যেতে পারে। ঘর থেকে বেসিন, আবর্জনা ফেলার পাত্র, কোনটি পরিষ্কার করবেন, কোনখান থেকে কাজ শুরু করা দরকার, নিজের মতো পরিকল্পনা করে নিলে এবং নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ থাকলে তা সহজ হয়ে যায়। এক কাজ করতে গিয়ে অনেকেই সেটি শেষ না করে অন্য জিনিস পরিষ্কার করতে যান, এতে সময় বেশি লাগতে পারে।
উপর থেকে পরিষ্কার না করা:
সাধারণত দেখা যায় লোকজন ঘর পরিষ্কার করা শুরু করেন মেঝে বা টেবিল, দেরাজ থেকে। তার পর হয়তো চোখ যায় দেওয়ালের ছবিটায় বা ঝাড়লণ্ঠনে। চোখ পড়ে, কোনায় ঝুল জমেছে। মেঝে বা টেবিল পরিষ্কারের পর এই কাজ করতে যাওয়া মানে দ্বিগুণ খাটনি। দেওয়াল থেকে ধুলো পড়বে আবার, সেগুলি পরিষ্কারও করতে হবে
অনেক রকমের জিনিস:
আলমারি হোক বা কাচ কিংবা দেরাজ— নানা রকম জিনিস পরিষ্কারের জন্য আলাদা আলাদা সরঞ্জাম পাওয়া যায়। একগাদা সরঞ্জাম নিয়ে ঘর, আসবাব পরিষ্কার করতে যাওয়াটা ঝক্কির। বদলে দেখতে পারেন, এমন কোন মিশ্রণ আছে কি না, যা দিয়ে একসঙ্গে আলমারি, কাচ, টেবিল সবই মুছে ফেলা যায়। এতে কাজের সুবিধা হয়।
উপযুক্ত সরঞ্জাম: টিভির পর্দা, ল্যাপটপ মোছার জন্য মাইক্রোফাইবার ক্লথ ভাল। মেঝে পরিষ্কারের জন্য আবার একটু মোটা ভারী কাপড় দরকার। কাঠের আলমারি, ড্রেসিং টেবিল মাইক্রোফাইবার ক্লথ দিয়ে মুছতে গেলে সময় লাগবে বেশি। তাই উপযুক্ত সরঞ্জাম খুঁজে নেওয়া জরুরি। যে কোনও কাপড় দিয়ে টিভির পর্দা মুছতে গেলে দাগ পড়ে যেতে পারে।
একসঙ্গে সব কাজ :
অনেকের বাড়িতেই নিয়মিত মেঝে মোছা হলেও, দরজা-জানলা, আসবাবের ধুলো ঝাড়া হয় না। কেউ আবার টেবিলে জিনিসপত্র অগোছালো ভাবে জমা করতে শুরু করেন। সমস্যা হয় হঠাৎ বাড়িতে অতিথি চলে এলে বা আসছেন জানলে। তখন স্বল্প সময়ে সব কাজ করে ওঠে যায় না। আবার সপ্তাহে এক দিন বা মাসে দু’দিন পুরো ঘরবাড়ি ঝাড়পোঁছ করার পরিকল্পনা থাকলেও শরীরের উপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে। তাই নিয়মিত বা সপ্তাহে দু’দিন ভাগ করে কাজ করলে সুবিধা হতে পারে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]