
ইসরায়েলের সঙ্গে ৬০ দিনের নতুন যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ প্রস্তাব মেনে নিয়েছে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। নতুন এই চুক্তিতে গাজায় হামাসের হাতে থাকা অর্ধেক জিম্মিকে ফেরত ও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তির শর্ত রয়েছে।
১৮ আগস্ট, সোমবার মিসরীয় সরকারি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেওয়ার এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাঈম লিখেছেন, ‘‘গাজা যুদ্ধ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের উপস্থাপিত নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে হামাস।’’
তবে এই বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মিসরীয় সরকারি সূত্র বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির নতুন প্রস্তাবে ৬০ দিনের জন্য গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান স্থগিত ও প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের অবসানে একটি সামগ্রিক চুক্তির পথ তৈরি করার রূপরেখা রয়েছে।
গাজা নগরীর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইসরায়েলি পরিকল্পনা বিশ্বে ও ইসরায়েলের ভেতরেও ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ও যুদ্ধের অবসানের দাবিতে রোববার ইসরায়েলে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। রোববারের এই বিক্ষোভকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্যতম বৃহত্তম বিক্ষোভ বলে দাবি করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধ অবসানের পাশাপাশি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় বন্দি বাকি ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজায় হামাসের হাতে বন্দি থাকা জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২৯ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
গাজা নগরীর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করা নিয়ে ইসরায়েলের পরিকল্পিত অভিযানের জেরে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জোরদার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন।
গাজার পূর্বাঞ্চলে সম্ভাব্য ইসরায়েলি স্থল অভিযানের আশঙ্কায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে গাজার পশ্চিম ও দক্ষিণে আশ্রয় নিচ্ছেন। যদিও ওই দুই অঞ্চলেও টানা গোলাবর্ষণ করছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
সূত্র: রয়টার্স।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]