
ররক্তে বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি থাকলে পেশি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তখন শরীরচর্চা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমের মধ্যেও মাঝে মধ্যেই পেশিতে টান ধরে। সারা দিনে যথেষ্ট পরিমাণে পানি খাওয়ার পরেও কিন্তু এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
আবার, শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের অভাবে শারীরবৃত্তীয় নানা ধরনের কাজ আটকে যেতে পারে।
পায়ের পেশিতে ক্র্যাম্প বা টান কিন্তু সেই কারণেই ধরে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম না থাকলে এই ধরনের সমস্যা হতেই পারে।
রোজকার ডায়েটে সাধারণ কিছু খাবার রাখলেই কিন্তু এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
কী ধরনের খাবার খেলে এই সমস্যা দূর হবে?
১) কলা:
পেশির কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম থাকা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম না থাকলে পেশিতে টান ধরতেই পারে। এই খনিজের প্রাকৃতিক উৎস হল কলা। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে রোজ একটি করে কলা খাওয়া যেতে পারে।
২) মিষ্টি আলু:
মিষ্টি আলু বা রাঙাআলুতেও কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে শরীরে এই খনিজের জোগান অব্যাহত রাখতে একটু-আধটু রাঙাআলু খাওয়া যেতে পারে। তবে, ডায়াবিটিস থাকলে রাঙাআলু খাওয়ার আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।
৩) শাকপাতা:
পালং শাক, নটে শাক, কালের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম। দেহের পেশির সচল রাখতে পটাশিয়ামের পাশাপাশি ম্যাগনেশিয়ামেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে এই ধরনের খাবার রাখা প্রয়োজন।
৪) বাদাম এবং বীজ:
ম্যাগনেশিয়ামের আরও কয়েকটি প্রাকৃতিক উৎস হল কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কুমড়ো এবং সূর্যমুখী বীজ। পেশি সংক্রান্ত সমস্যা এড়াতে চাইলে, বিকেল-সন্ধ্যার স্ন্যাক্স হিসেবে কিংবা স্যালাডে এই ধরনের খাবার রাখা যেতেই পারে।
৫) ইয়োগার্ট:
পেশিতে টান ধরা রুখতে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের পাশাপাশি আরও একটি খনিজ পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে থাকা প্রয়োজন। সেটি হল ক্যালশিয়াম। টক দই বা ইয়োগার্টে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেশি। হাড়, স্নায়ু এবং পেশি সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে নিয়মিত এই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]