
রমজান মাসে ইফতারিতে ছোলা থাকেই। তবে বছরের অন্যান্য সময়ও ছোলা খান অনেকে। ইফতারিতে সাধারণ রান্না করা ছোলাই বেশি খাওয়া হয়।
রান্না করা ছোলার উপকারিতা অনেক। এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ আছে। মসলা যোগ করে ছোলা তেলে রান্না করলে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই যাঁরা ক্যালরি বাড়াতে চান, তাঁদের জন্য এটি ভালো।
কিন্তু ওজন বাড়তে দিতে চান না কিংবা যাঁদের আলসার আছে, তাঁদের না খাওয়াই ভালো। এ ছাড়া কেউ কেউ অতিরিক্ত পরিমাণে মসলা যোগ করেন ছোলায়, এমন গুরুপাক খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না।
এতে পেট ফাঁপে। আর বাইরে মসলায় ভাজা ছোলা খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত।
ছোলার পুষ্টিগুণ
ভেষজ প্রোটিনের ভালো উৎস: পেশি পুনর্গঠন থেকে শুরু করে হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতি বেলার খাবার অথবা নাস্তায় ছোলা খাওয়া প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে।
প্রতি এক আউন্স ছোলাতে তিন গ্রাম প্রোটিন থাকে। এতে মেথিওনিন ছাড়া প্রায় সব ধরনের অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। যে কারণে ছোলাকে উচ্চ মান সম্পন্ন ভেষজ প্রোটিনের উৎস বলা হয়।
আঁশ সম্পন্ন: ছোলাতে প্রোটিনের পাশাপাশি রয়েছে উন্নত মানের আঁশ। প্রতি এক আউন্স ছোলাতে দুই গ্রাম আঁশ থাকে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।
প্রোটিন এবং আঁশ একসঙ্গে হজমে খুব ভালো কাজ করে। আর পেট ভরা রাখতে ভূমিকা রাখে।
ছোলার নিম্ন ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে: কোনো খাবার খাওয়ার পরে রক্তের শর্করা যত দ্রুত বৃদ্ধি পায় তার পরিমাপ করা হয় ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মাধ্যমে।
ছোলাতে এর মাত্রা কম, স্কেলে এর মাত্রা ২৮। ছোলা উচ্চ প্রোটিন ও আঁশ সমৃদ্ধ হওয়াতে এটা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
লৌহের চাহিদা পূরণ করে: এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মি.লি. গ্রাম লৌহ, ২.১ মি.গ্রা. ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা দেহে লৌহের ঘাটতি পূরণ ও শোষণে সহায়তা করে।
‘রেড মিট’ ও ‘শেলফিশ’সহ নির্দিষ্ট কিছু মাংস, মাছ উচ্চ লৌহ সমৃদ্ধ, যা লৌহের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। যারা এসব খাবার থেকে বিরত থাকেন তাদের দেহে দৈনিক ১৮ মি.লি. গ্রাম লৌহের ঘাটতি দেখা দেয়।
লৌহের ঘাটতি রক্ত শূন্যতা, দুর্বলতা ও ক্লান্তিভাব সৃষ্টি করে। সালাদে ছোলা, মটর বা হামাসের ওপরে মরিচ ছিটিয়ে খাওয়া লৌহের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।
হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে: প্রোটিন ও আঁশের পাশাপাশি ছোলাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি শক্তিশালি ভিটামিন ও খনিজ। যেমন ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও সেলেনিয়াম।
ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান: ছোলাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি ও সেলেনিয়াম যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ছোলা খাওয়ার সময়ে বিউটোরেইট নামক ‘শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড’ তৈরি করে দেহ, যা অসুস্থ ও মৃত কোষ থেকে সুরক্ষিত রাখে। এতে রয়েছে ভোজ্য বায়ো-অ্যাক্টিভ যৌগ লাইকোপিন, বায়োকানিন এ এবং সাপোনিন্স- এগুলো নানান ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]