
ইসরাইলের পরমাণু স্থাপনা, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সংক্রান্ত হাজার হাজার গোপন নথি সংগ্রহের দাবি করেছে ইরানের গোয়েন্দা বিভাগ। যেকোনো সময় এ নথি ফাঁস করে দেয়ার হুমকিও দিয়েছে তেহরান।
রবিবার (৮ জুন) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রী ইসমাইল খাতিব রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, তাদের হাতে ইসরাইলের একটি গোপন সম্পদের ভান্ডার রয়েছে।
তিনি বলেন, এটি এমন এক বিশাল তথ্যভান্ডার, যার ভেতর রয়েছে ইসরাইলের পরমাণু স্থাপনাসমূহ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক, এমনকি প্রতিরক্ষা সক্ষমতা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর নথিপত্র।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘হাকিরিয়া’ নামক কৌশলগত এলাকায় অবস্থিত ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সেনা সদর দফতর থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
খাতিব বলেন, ‘এই গোপন সম্পদের ভান্ডার স্থানান্তর করতে সময় লেগেছে এবং এতে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই স্থানান্তরের পদ্ধতি গোপনই থাকবে, তবে নথিগুলো শিগগিরই উন্মোচন করা হবে।’
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ‘নথিগুলোর পরিমাণ এত বেশি এবং এগুলো নিরাপদভাবে দেশে আনার প্রয়োজনীয়তার কারণে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে এত দিন চুপচাপ থাকা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সাইবার ও মানব গোয়েন্দা তৎপরতার সমন্বয়ে এ চাঞ্চল্যকর অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
ইসরাইল সরকার অবশ্য এই তথাকথিত গোপন নথি ফাঁস হওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার নিয়ে কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু প্রকাশ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র পারমাণবিক বোমার অধিকারী দেশ এটি।
যদিও ইসরাইল গাজা যুদ্ধ চলাকালে ইরানের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুজন যুবককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইরানিদের নির্দেশে নজরদারি ক্যামেরা বসাতে গিয়ে ধরা পড়েন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই তথাকথিত গোয়েন্দা সাফল্য যদি সত্য হয়, তাহলে তা শুধু তেহরান-তেল আবিবের ছায়াযুদ্ধে নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত ভারসাম্যেই প্রভাব ফেলবে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]