
আফগানিস্তানে ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় নিহত বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে। দেশটির তিনটি প্রদেশে এ প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় ফারাহ প্রদেশেই বন্যায় প্রাণ গেছে ২১ জনের।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম গালফ টুডে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানিস্তানের তিনটি প্রদেশে সাম্প্রতিক ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা আরও ১০ জনে বেড়ে ৩৯ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা।
এর মধ্যে গত মঙ্গলবার পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ফারাহতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয় এবং এতে ২১ জন প্রাণ হারান। এ ছাড়া শিলাবৃষ্টিতে বাড়ি ধসে পড়ার পর আরও তিনজন মারা যান।
নাসরুল্লাহ নামে ৫০ বছর বয়সী এক কৃষক বলেন, ভয়াবহ এই বন্যায় আমার সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার খামার ও সমস্ত জমি প্লাবিত হয়ে গেছে।
মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামে আরেক কৃষক বলেন, আমার ষাট বছরের জীবনে আমি এমন বাতাস, বৃষ্টি আর ঝড় দেখিনি। ঝড়টি এত শক্তিশালী ছিল যে বেড়াগুলো ৩০-৩৫ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে এবং কাঠের তৈরি সমস্ত কিছু উড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে হেলমান্দ প্রদেশে বজ্রপাতে এক শিশুসহ ছয়জন এবং কান্দাহার প্রদেশে নয়জন নিহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, মারাত্মক বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যাকবলিত ফারাহসহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে দীর্ঘমেয়াদী খরা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র আবদুল্লাহ জান সায়েক বলেন, বেশিরভাগ প্রদেশে অবিরাম বৃষ্টি ও তুষারপাত হচ্ছে, যা খরা কমিয়ে দিয়েছে। এটি পানির পরিকাঠামোকে সমৃদ্ধ করবে। কৃষি আরও উন্নত হবে এবং পশুসম্পদের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]