পশ্চিম আাফ্রিকার দেশ গিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এনজেরেকোরে ফুটবল খেলা চলাকালে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দর্শকদের মধ্যে তুমুল মারামারির মধ্যে পদদলিত হয়ে প্রায় ১৩৫ জন নিহত হয়েছেন, জানিয়েছে স্থানীয় একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী।
গত রবিবারের ওই ঘটনায় সরকারিভাবে ৫৬ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে, কিন্তু মানবাধিকার গোষ্ঠীটির হিসাবকৃত মৃত্যুর সংখ্যা তার দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।
রয়টার্স জানিয়েছে, রেফারির একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে গোলযোগের সূত্রপাত হয়। দুই পক্ষের সমর্থকরা মাঠে ঢুকে মারামারি শুরু করলে পুলিশ কাঁদুনের গ্যাস নিক্ষেপ করে। কাঁদুনে গ্যাস থেকে বাঁচতে লোকজন পালাতে শুরু করলে ভিড়ের চাপে পিষ্ট হয়ে ও পদদলিত হয়ে বহু মানুষের প্রাণ যায়।
মঙ্গলবার এনজেরেকোর অঞ্চলের মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর একটি সম্মিলিত দল জানিয়েছে, তারা মৃত্যুর যে সংখ্যা তুলে ধরেছে তা হাসপাতাল, কবরস্থান, স্টেডিয়ামের প্রত্যক্ষদর্শী, নিহতদের পরিবার, মসজিদ, গির্জা ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হিসাব করা হয়েছে।
আরও ৫০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “আমরা এখন হিসাব করেছি ওই স্টেডিয়ামে ১৩৫ জন নিহত হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু।”
গোষ্ঠীটি এ ঘটনার জন্য অতিরিক্ত কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার এবং দর্শকের চেয়ে কর্মকর্তাদের সুরক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে দায়ী করেছে।
তারা আরও বলেছে, কর্মকর্তাদের ও অন্যদের বহনকারী গাড়িগুলো স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় পালানোর চেষ্টারত দর্শকদের আঘাত করেছে। স্টেডিয়ামটিতে উপচে পড়া ভিড় ছিল আর এর প্রবেশপথগুলো নিরাপত্তা বাহিনী আটকে রেখেছিল।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলেছে, তারা টুর্নামেন্টের আয়োজকদের পাশাপাশি গিনির শাসক জান্তাকেও এর জন্য দায়ী করছে। কারণে সামরিক নেতা মামাদি দৌমবৌয়াকে সম্মাননা জানাতে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল তারা।
সরকার সোমবার এ ঘটনায় বিষয়ে তদন্ত শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিলেও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর এ বিবৃতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]