ফিলিস্তিনের গাজায় গেল এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। তার ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় এ উপত্যকায় আরও ৯৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬০ জন।

রোববার (১৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়া এবং মধ্য গাজার নুসেইরাত ও বুরেজের শরণার্থী শিবিরে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ও বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এক বিবৃতিতে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলেছে, বেইত লাহিয়ায় হামলায় ৭২ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন এবং মধ্য গাজায় ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৬০ জন আহত হয়েছেন। দখলদার সেনাবাহিনী জানতো, অসংখ্য বাস্তুচ্যুত বেসামরিক লোক এই ভবনগুলোর ভেতরে রয়েছে এবং তাদের বেশিরভাগই ছিল এমন সব শিশু ও নারী যারা আশপাশের এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল।

গাজার এই অফিস “বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই ভয়ঙ্কর গণহত্যার” নিন্দা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং একইসঙ্গে “যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সসহ ইসরায়েলি সরকারকে এবং তাদের আন্তর্জাতিক সমর্থকদের” জবাবদিহিতার দাবি জানিয়েছে।

গাজার একটি চিকিৎসা সূত্র এর আগে আনাদোলুকে বলেছিল, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান রোববার বেইত লাহিয়া প্রকল্প এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনে আঘাত হানে, এতে প্রায় ৫০ জন নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ৭০ জনেরও বেশি বাস্তুচ্যুত বেসামরিক লোক বর্বর ওই হামলার শিকার ভবনের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

এছাড়া ওই এলাকার অন্য একটি বাড়িকে লক্ষ্য করে হওয়া ইসরায়েলি হামলায় আরও ১৫ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে অন্য একটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে।

ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান বেইত লাহিয়ার আরেকটি বাসভবনে হামলা চালালে আরও দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয় বলেও জানিয়েছে আনাদোলু।

বিবার্তা/মাসুম