
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের একেবারে শেষ সময়ে এসে জনসমর্থনের দিক থেকে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের ব্যবধান মাত্র এক শতাংশ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত রয়টার্স/ইপসোস জরিপের ফলে দেখা যায়, হ্যারিস পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ সমর্থন আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ সমর্থন।
তিনদিনের এই জরিপ শেষ হয় রবিবার (৩ নভেম্বর)। এতে ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থীর অবস্থান প্রায় সমান সমান দেখা যাচ্ছে।
হ্যারিস গত জুলাইয়ে নির্বাচনি দৌড়ে সামিল হওয়ার পর থেকে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে সমর্থনের দিক থেকে ট্রাম্পের তুলনায় এগিয়ে ছিলেন। এরপর সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে হ্যারিসের সমর্থন ধীরে ধীরে কমেছে।
গত ১৬ থেকে ২১ অক্টোবরে পরিচালিত রয়টার্স/ইপসোস জরিপে দেখা গেছে, হ্যারিস ট্রাম্পের চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন।
নতুন জরিপটি চালানো হয়েছে দেশজুড়ে ১ হাজার ১৫০ জনের ওপর। এর মধ্যে নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ৯৭৫ জন। এই জরিপে দেখা গেছে, ভোটারদের মনে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নির্বাচনি বিষয়ে হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্প অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।
অর্থনীতি, বেকারত্ব এবং কর্মসংস্থানের প্রশ্নে ট্রাম্প ৪৭ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন আর হ্যারিস পেয়েছেন ৩৭ শতাংশ সমর্থন।
আবার রাজনৈতিক উগ্রবাদ এবং গণতন্ত্রে হুমকি মোকাবেলার প্রশ্নে হ্যারিস পেয়েছেন ৪০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৮ শতাংশ সমর্থন।
রয়টার্স/ইপসোস জরিপসহ জাতীয় জরিপগুলোতে ভোটারদের দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত পাওয়া যায়। তবে নির্বাচনে প্রতিটি রাজ্যের ভোট এবং ইলেকটোরাল কলেজে নির্ধারণ হয় বিজয়ী কে হবেন। রাজ্যগুলোর মধ্যে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোই জয়-পরাজয় নির্ণায়ক হয়ে ওঠে।
ফলে ট্রাম্পের সঙ্গে হ্যারিসের ব্যবধান মাত্র ১ পয়েন্ট হলেও এবং ৫ নভেম্বর পর্যন্ত হ্যারিসের অবস্থান একই থাকলেও নির্বাচনে জয়ের জন্য তা যথেষ্ট নাও হতে পারে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]