
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিশও। দিল্লির প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আপের কর্মসূচি শুরু হতেই মুহূর্তে তা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভকারীদের আটকাতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হন পাঞ্জাবের মন্ত্রী তথা আপ নেতা হরজোৎ সিং বাইন।
বিক্ষোভ আটকাতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিল দিল্লি পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে একাধিক স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। চত্বরে ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি কোনোরকম মিটিং-মিছিলের উপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। নির্দেশ অমান্য করে প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আপ কর্মী সমর্থকদের জমায়েত শুরু হতেই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে পুলিশ ঘোষণা করে, ‘এই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আপনারা এখানে জমায়েত করবেন না। আপনাদের ৫ মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে এলাকা খালি করে দিন।’
তবে পুলিশের নির্দেশকে উড়িয়ে আরও কর্মী-সমর্থক এসে জড়ো হয় ওই এলাকায়। এর পরই বিক্ষোভকারীদের সরাতে মাঠে নামে পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই আটক করা হয় পাঞ্জাবের মন্ত্রী হরজোৎ সিং বাইনসহ একাধিক আপ কর্মী-সমর্থককে।
বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে আপ নেত্রী রিনা গুপ্তা বলেন, 'আমাদের স্পষ্ট দাবি, অবিলম্বে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তি দেওয়া হোক। বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে আমাদের নেতাকে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।'
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে। আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজত দেওয়া হয়েছে তাকে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা না দিয়ে জেলের মধ্য থেকেই সরকার চালাচ্ছেন কেজরিওয়াল। তার ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার একদিকে যখন কেজরির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে আপ। দিল্লির অন্যপ্রান্তে তখন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কেজরিওয়ালের ইস্তফার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিজেপি।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]