জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে পুলিশ ও বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:২০
জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে পুলিশ ও বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গাজায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা এবং হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরায়েলি দূতাবাস ঘেরাও করে শত শত জর্ডানি বিক্ষোভ করেছে। এসময় বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।


রবিবার (২৪ মার্চ) দেশটিতে এ ঘটনা ঘটে।


জর্ডান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছেন তবে ইসরায়েল দূতাবাস বা সীমান্তের কাছে যাওয়ার অনুমোদন দেয়নি।


জর্ডানের দাঙ্গা পুলিশ আম্মানে ইসরায়েলি দূতাবাসের দিকে যেতে বিক্ষোভকারীদের বিরাট মিছিলে বাধা দেয়।


রবিবার রাজধানীর আম্মানে কালোতি মসজিদে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সেখানে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করে কর্তৃপক্ষ। এখান থেকেই ইসরায়েলি দূতাবাস ঘেরাওয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল তারা।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দূতাবাস ঘেরায়ের জন্য বিক্ষোভকারীরা সামনের দিকে এগোতে থাকলে তাদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। এ সময় অনেককে গ্রেফতার করা হয়। বিক্ষোভকীরা হামাসকে সমর্থন করে স্লোগান দিতে থাকে।


আমরা সীমান্তে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের হত্যা এবং তাদের জিম্মি করতে চাই। আমরা পাল্টা প্রতিশোধ নিতে চাই। হামাসের সদস্যরা তোমরা তেল আবিবে বোমা হামলা চালাও বলে স্লোগান দিতে থাকে।
রয়টার্স জানায়, গাজার হাসপাতালগুলোর ওপর ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ জর্ডানিরা ইসরায়েলি দূতাবাসের দিকে রোববার এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন।


সরকার বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অতিসুরক্ষিত ইসরায়েলি দূতাবাসটির কাছে অবস্থিত কালোতি মসজিদের পাশে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করে। এরআগেই পুলিশ দুতাবাসটি ঘেরাও করে রাখে।


বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটকও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জর্ডানের ১ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকই ফিলিস্তিনি।


পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। যদিও জর্ডানে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে প্রায়ই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কারণ গাজা এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে ইসরায়লি দূতাবাসের স্থানটি বিক্ষোভের জন্য একটি ফ্লাশপয়েন্ট হয়ে উঠেছে। জর্ডান কর্তৃপক্ষ যদিও ইসরায়েলি দূতাবাসের সামানে বিক্ষোভের অনুমতি দিয়ে থাকে। কিন্তু তারা সেখানে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালানোর ঘটনাকে মেনে নিতে পারে না।


জর্ডানের দাবি গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস আইন ভঙ্গ করে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্য এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে।


হামাসের এ হামলার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু।


জর্ডানের নাগরিকদের প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ফিলিস্তিনের বংশোদ্ভূত। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে অনেকে পালিয়ে জর্ডানে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে তারা এখানেই আবাস গড়ে তোলেন।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com