
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত দেশটির বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিনের মৃত্যু হয়েছে। নাভালনি মধ্য রাশিয়ার কারাগারে হাঁটার সময় অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার কারাগারে হাঁটাহাঁটির এক পর্যায়ে নাভালনি পরে অজ্ঞান হয়ে যান। এসময় অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম চলে আসে।
দাঁড়ানো থেকে পরে যাওয়ার পরপরই নাভালনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে ঠিক কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তার বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর।
মস্কো থেকে প্রায় ১ হাজার ৯০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে খার্পের আইকে-৩ পেনাল কলোনির একটি কারাগারে নাভালনি আটক ছিলেন।
এক বিবৃতিতে ইয়ামালো-নেনেতস স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ফেডারেল পেনাল সার্ভিস জানিয়েছে, অর্থ আত্মসাৎসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে সংশোধনাগারে সাজা ভোগ করা ৪৭ বছর বয়সী নাভালনি হাঁটার পর 'অসুস্থ বোধ করেন', প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, নাভালনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দেরি না করে চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। প্যারামেডিকরা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
২০২১ সালে থেকে বন্দি এ রাজনীতিবিদকে গত আগস্টে নতুন করে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তার আগে তাকে নয় বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
নাভালনির মৃত্যুর খবর পুতিনকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর নিখোঁজ অ্যালেক্সেই নাভালনির খোঁজ পাওয়া যায় সাইবেরিয়ার একটি পেনাল কলোনি বা কারাগারে।
গত ২৫শে ডিসেম্বর নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ বলেছিলেন, “আমরা অ্যালেক্সেই নাভালনিকে পেয়েছি। বর্তমানে রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলে রয়েছেন তিনি। ”
এর আগে গত ছয়ই ডিসেম্বরের পর থেকে নিজের দলের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না নাভালনির। সেদিন তাকে আগের একটি কারাগার থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
নাভালনিকে রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নেতা মনে করা হয়। তিনি ২০২১ সাল থেকে কারাগারে আটক রয়েছেন।
ইয়ারমিশ বলেছেন, নাভালনিকে রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের স্বায়ত্তশাসিত জেলা ইয়ামালো-নেনেটস এর খার্পে অবস্থিতি আইকে-৩ নামে একটি পেনাল কলোনিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পেনাল কলোনি হচ্ছে এক ধরণের বসতি যেখানে কারাবাসীদের নির্বাসনে দেয়া হয় এবং তাদেরকে একটি দুর্গম জায়গা বা দ্বীপে রাখার মাধ্যমে বাকি জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]