
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ২০ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ধ্বংস হয়েছে প্রায় স্থাপনা। ইসরায়েলের অবরোধে এ ভূখণ্ডে ডুকতে পারছে না কোনো ত্রাণ। ফলে খাদ্য, শিশুদের দুধ, পুষ্টিকর উপাদান এবং জরুরি ওষুধ প্রবেশ করতে পারছে না। এ অবস্থায় ক্ষুধায় ৫৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরাইলের অবরোধের ফলে অন্তত ৫৭ ফিলিস্তিনি নাগরিক ক্ষুধায় মারা গেছেন বলে গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শনিবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ সীমান্ত ক্রসিংগুলো বন্ধ থাকায় খাদ্য, শিশুদের দুধ, পুষ্টিকর উপাদান এবং জরুরি ওষুধ প্রবেশ করতে পারছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২ মার্চ থেকে গাজায় খাদ্য ও ওষুধ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরাইল, এতে করে গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছেন। উপত্যকাটিতে এখন শুধু বোমা হামলায় নয়, ক্ষুধায় প্রাণ হারাচ্ছেন শিশুসহ অনেকে।
এদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, দ্রুত ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা না করা হলে অনাহারে মৃতের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।
এদিকে শনিবার দিনভর ইসরাইলি হামলায় শিশুসহ আরও ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিন রাতে খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে তেল আবিব।
গাজামুখী একটি ত্রাণবাহী জাহাজে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ড্রোন হামলার অভিযোগ উঠেছে। মাল্টার কাছে শুক্রবার কনসায়েন্স নামের জাহাজটিতে আগুন ধরে গেলে উদ্ধারকাজে নামে টাগবোট। জাহাজে তুর্কি ও সুইডিশ নাগরিকসহ ১৬ জন ছিলেন।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের দাবি, হামলায় ইসরাইল জড়িত। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি নেতানিয়াহু প্রশাসন। জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর বলেছে, এ হামলার স্বাধীন তদন্ত জরুরি। তাদের মতে, গাজা অবরোধ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে যুদ্ধাপরাধের শামিল।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]