সৌরবিদ্যুৎও জলবায়ুর জন্য হুমকি: সৌদি আরব
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:০৫
সৌরবিদ্যুৎও জলবায়ুর জন্য হুমকি: সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

যুক্তরাষ্ট্রসহ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর তীব্রভাবে নির্ভরশীল দেশগুলো যখন বিকল্প জ্বালানি উৎসগুলোকে সমর্থন করছে, তখন এ ধরনের উৎসকেও জলবায়ুর জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে ইঙ্গিত করেছে তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরব।


দেশটির মতে, বায়ু ও সৌরশক্তিও জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অন্যান্য দেশকেও আহ্বান জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।


পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—বায়ু, সৌর এবং অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোর মাধ্যমে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সৌদি সরকারের একটি নথিতে। বলা হয়েছে, বায়ুম-ল ও মহাসাগর থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস অপসারণের জন্য নবায়নযোগ্য এসব শক্তির উৎস ব্যয়বহুল ও অপ্রমাণিত পদ্ধতি।


সদ্য শেষ হওয়া কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে পূর্বনির্ধারিত একটি অপ্রতিবেদিত বক্তৃতার পাঠ্য অনুসারে সৌদি আরব বলছে, জলবায়ুদূষণ মোকাবিলার জন্য যেসব বায়ু টারবাইন, সৌর প্যানেল ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর হার্ডওয়্যার থেকেও কার্বন অপসারণ প্রয়োজন।


গত ৩১ অক্টোবর এক সৌদি কর্মকর্তা নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসকে সমাধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ বললেও সৌদি আরবের যুক্তি হলো, এসব উৎসের যন্ত্রপাতিগুলো যখন জীবনচক্র পাড়ি দিয়ে অব্যবহারযোগ্য হয়ে যাবে, তখন এগুলো অপসারণ করাও মুশকিলের বিষয় হবে।


আলোচনায় এসেছে, সৌদি কর্মকর্তারা ধোঁয়া থেকে কার্বন শোষণ করে এমন প্রযুক্তি তৈরির ওপর জোর দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, সৌদি আরব নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার না করে কার্বন পরিচালনা করার প্রচেষ্টাকে প্রচার করছে। বিষয়টি গ্রিনহাউস গ্যাসের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানি বাতিল করার সমর্থনকে দুর্বল করতে পারে।


সৌদি আরবের জলবায়ু আলোচকদের সম্পর্কে আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ বিল হেয়ার বলেন, ‘তারা বছরের পর বছর ধরেই এমন যুক্তি দিচ্ছে।’ সৌদি আলোচকেরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপকে বিলম্বিত করতে তর্ক করার সব উপায় নিয়ে হাজির হন বলেও মন্তব্য করেছেন বিল হেয়ার।


এ ছাড়া নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন ও ইনস্টলেশন থেকে উষ্ণতা নির্গমন সম্পর্কে সৌদিদের যুক্তিকে ‘সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত’ বলেছেন হেয়ার। তিনি জানান, সৌর প্যানেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এতে যে কার্বন ফুটপ্রিন্ট থাকে, তা কয়লাচালিত শক্তি থেকে নিঃসারিত কার্বনের একটি ভগ্নাংশ মাত্র।


হেয়ার আশঙ্কা করছেন, সৌদি আরব ও তার মিত্রদের বক্তব্য, জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা কমানোর জন্য প্রমাণিত পদক্ষেপ থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে পারে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com