মণিপুরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ১৩
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৩৯
মণিপুরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ১৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের মণিপুর রাজ্যে মিয়ানমার ঘেঁষা টেংনুপাল জেলার লেইথু গ্রামে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।


সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে এই বন্দুকযুদ্ধ চলে। তখন নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল বলে মনিপুরের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে। রাজ্যটির নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনডিটিভি।


গণমাধ্যমটি জানায়, কেন্দ্রীয় ও মণিপুর সরকার রাজ্যের প্রাচীনতম সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফোর্সের (ইউএনএলএফ) সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করার চার দিনের মধ্যে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পুলিশ ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।


তবে এই বন্দুকযুদ্ধ দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যেই হয়েছে কি না সে সম্পর্কে এখনো রাজ্য পুলিশ নিশ্চিত নয়। পুলিশ মনে করছে, এই সংঘর্ষের সঙ্গে গত সাত মাস ধরে চলা জাতিগত সংঘাতের কোনো সম্পর্ক নেই।


পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা যারা মারা গিয়েছেন তারা অন্য রাজ্য বা দেশ থেকে আসা সশস্ত্র যোদ্ধাও হতে পারে।


প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, টেংনুপালের সাইবোল নামক একটি জায়গায় লেইথু গ্রামে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। সেই লড়াইয়ের জেরেই ১৩ জন মারা গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।


মণিপুর পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, জায়গাটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই ঘটনা কিভাবে ঘটলো।


সোমবার রাতে মণিরপুরের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণই রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জাতিগত সংঘাতের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।


গত রবিবার থেকে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় রাজ্য সরকার। দীর্ঘ প্রায় সাত মাস পরে এই নিষেধাজ্ঞা প্রায় পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়। তবে পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।


চলতি বছরের ৩ মে থেকে লাগাতার জাতিগত সংঘর্ষে মণিপুরে ১৭৫ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। বাড়িঘর হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে এখনো রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সহিংসতা চলাকালীন বাড়িঘর হারিয়েছিলেন অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। দীর্ঘ ছয় মাস সংঘাত চলার পরে গত একমাস যাবত মোটামুটি শান্ত ছিল উত্তরপূর্ব ভারতের এই রাজ্য।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com