
ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশটির দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়তে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এ খবর দিয়েছে।
বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ওপর দিয়ে এগোনোর পথে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছনোর পর সেটি অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণে এবং তামিলনাড়ুর উত্তর ভাগে ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) আছড়ে পড়বে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি পুদুচেরি থেকে ৪৪০ কি.মি. পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্বে এবং চেন্নাই থেকে ৪২০ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি তামিলনাড়ুর নেল্লোর এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনমের মধ্যে ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কি.মি.। তবে চেন্নাইয়ে এই ঝড়ের প্রভাব খুব একটা না পড়লেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব রেল ৩-৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তামিলনাড়ু থেকে ১১৮টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে। চেন্নাইয়ের আবহাওয়া দফতরের সহ-অধিকর্তা এস বালাচন্দ্রন জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর এগোচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও শক্তি সঞ্চয় করবে।
ঘূর্ণিঝড় যত এগিয়ে আসছে তার প্রভাবে তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অঞ্চল এবং পুদুচেরির বেশ কিছু জায়গায় রবিবার থেকেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। সোমবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। অন্ধ্রপ্রদেশেও রবিবার থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
সোম এবং মঙ্গলবার উপকূলীয় অন্ধ্র এবং ইয়ানামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, সোম থেকে বুধবারের মধ্যে ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে অন্ধ্র এবং তামিনলাড়ুতে।
সূত্র: এবিপি
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]