কিছুক্ষণের মধ্যে উদ্ধার টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৩৪
কিছুক্ষণের মধ্যে উদ্ধার টানেলে আটকা ৪১ শ্রমিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গ ধসের ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের ভেতরে টানা ১৭ দিন আটকে পড়া ৪১ শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গেছেন উদ্ধারকারীরা। তাদের বের করে নিয়ে আসার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।


গত ১২ নভেম্বর ভোরে টানেলের একটি অংশ ধসে পড়লে সেখানে আটকা পড়েন ৪১ শ্রমিক। তাদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপের ভেতর ৬০ মিটার লম্বা একটি মোটা পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। আর এ পাইপ দিয়েই স্ট্রেচারের মাধ্যমে একজন একজন করে শ্রমিককে বের করে নিয়ে আসা হবে।


টানেলে মোটা পাইপ স্থানে ব্যবহার করা হয়েছে নিষিদ্ধ ‘র‍্যাট হোল’ মাইনিং। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আমেরিকান অগারস ড্রিলিং মেশিন দিয়ে ড্রিল করে সেখানে ৬০ মিটার লম্বা পাইপ স্থাপনের কাজ চলছিল। কিন্তু শুক্রবার সেই ড্রিলিং মেশিনটি ভেঙে যায়। এরপর হাত দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই উদ্ধার অভিযানের জন্য ডাকা হয় সেনা সদস্যদেরও।


টানেলের এই উদ্ধার অভিযানের সমন্বয়ক লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) সৈয়দ আতা হাসনাইন মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, একজন শ্রমিককে বের করে আনতে তাদের ৩ থেকে ৪ মিনিট সময় লাগতে পারে। ফলে পুরো উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করতে আরও ৪ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।


তিনি আরও জানিয়েছেন, শ্রমিকদের উদ্ধারে তিনটি দল টানেলের আটকা স্থানে প্রবেশ করবে। এ দলে থাকবে ১২ জন সদস্য। তারা শ্রমিকদের বের হয়ে যেতে সহায়তা করবেন।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যখন টানেলে পাইপটি স্থাপন সম্পন্ন হয় তখন আটকা শ্রমিকরা উল্লাস শুরু করেন। তবে তখন তাদের শান্ত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়।


উদ্ধার অভিযানের সমন্বয়ক লেফটেনেন্ট আতা আরও জানিয়েছেন, গতকাল শ্রমিকদের কাছে ক্রিকেট ব্যাট-বল পাঠানো হয়। সেগুলো দিয়ে শ্রমিকরা খেলাধুলাও করেছেন।


পরবর্তীতে বার্তাসংস্থা এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে লেফটেনেন্ট আতা জানিয়েছেন, তার মতে পুরো উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হতে মঙ্গলবার সারারাত সময় লাগতে পারে।


এদিকে উদ্ধার অভিযানে ব্রেকথ্রু পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে জড়ো হওয়া শুরু করেন শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা। তারাও সেখানে উল্লাস শুরু করেন।


উদ্ধার অভিযানের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, জাতীয় বিপর্যয় রেসপন্স ফোর্স এবং চিকিৎসকরা এখন টানেলের ভেতর ঢোকার জন্য প্রস্তুত আছেন। ভেতরে তারা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন এবং তাদের পাইপের মাধ্যমে বের করে আনার প্রক্রিয়া শুরু করবেন।


শ্রমিকদের বের করে আনা মাত্র প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৩০ কিলোমিটার দূর ৪১ বেডের একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। শ্রমিকদের নিয়ে যেন অ্যাম্বুলেন্সগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে যেতে পারে সেজন্য সেখানে একটি গ্রিন করিডোর তৈরি করা হয়েছে।


৪১ বেডের হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের সুবিধা রয়েছে।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com