
দিল্লির আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দু’এক দিনে মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। বৃষ্টি হলে বাতাসের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে এবং কমে আসবে বায়ু দূষণ। সাময়িক স্বস্তি পাবে রাজধানীবাসী।
২৭ নভেম্বর, সোমবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, দ্য ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজন (এনসিআর) দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা ‘মারাত্মক’।
দিল্লির কোথাও কোথাও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা ‘একিউআই’ ৪৫৪ পর্যন্ত উঠতেও দেখা গেছে বলে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (সিপিসিবি) তথ্যে পাওয়া যায়।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
সিপিসিবির তথ্যানুযায়ী এদিন সবচেয়ে দূষিত ছিল দিল্লির অশোক বিহার (একিউআই ৪৫৪)। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন এলাকায়ও বায়ু ‘মারাত্মক’ দূষিত ছিল।
দিল্লির এক বাসিন্দা জানান, ‘দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা এতটাই খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে যে মানুষের ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দূষণের কারণে তার নিশ্বাস নিতে খানিকটা কষ্ট হচ্ছে। সকালে যেহেতু দূষণের মাত্রা সবচেয়ে ভয়াবহ থাকে তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক দিন মর্নিংওয়াক বা সকালে শরীর চর্চার জন্য সাইকেল চালাতে যাওয়া উচিত না।’
এ বিষয়ে আলোচনার জন্য ভারতের স্থানীয় সরকারের পরিবেশমন্ত্রী বৈঠক করেছেন।
এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘এখন জমিতে নাড়া পোড়ানোর ঘটনা অনেক কমে গেছে। তারপরও বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে।’
বিজ্ঞানীরা এর পেছনে দুই থেকে তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছেন-১. যানবাহনের ধোঁয়া। যেটা বায়ু দূষণের জন্য ৩৬ শতাংশ দায়ী ও ২. জৈব জ্বালানির ব্যবহার।
বিবার্তা/মাসুদ/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]